সক্ষমতা না থাকলে ঠিকাদারের কাজ না নেওয়াই শ্রেয়

228

সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ঠিকাদারদের কাজ নেওয়ার প্রথম যোগ্যতা হলো কাজ করার সক্ষমতা থাকা। কাজের সক্ষমতা নেই এমন ঠিকাদারের কাজ নেওয়াই উচিত না। এতে দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যক্তির স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থ অনেক উর্ধ্বে। তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চসিক-জাইকা ও ঠিকাদারদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদত মোহাম্মদ তৈয়ব, ফরহাদুল আলম, ঝুলুন কুমার দাশ, বিপ্লব দাশ, সুদীপ বসাক ও জাইকার প্রজেক্ট ডাইরেক্টর অহিদুল ইসলাম, সিনিয়র ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, মোহাম্মদ তুষার আহমদ, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনসহ চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আবির, আলী হোসেন, ইমন, সাইফুল, ইঞ্জিনিয়ার রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ঠিকাদারেরা তাদের বক্তব্যে নির্দিষ্ট সময়ের কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। সিটি মেয়র ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা অতীতের ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। অতীতে কাজ নিয়ে বসে থেকে দিনের পর দিন অতিবাহিত করার যে প্রবণতা অনেকের মধ্যে ছিল, সে মানসিকতা এখন আর চলবে না। এই প্রসঙ্গে মেয়র আরো বলেন, ব্যক্তিগত উপকার ভোগ অথবা নিজের পকেট ভারী করার মানসিকতা নিয়ে যদি কোনো ঠিকাদার কাজ করে থাকেন, এটি মোটেও ভালো চিন্তা নয়। তাই এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে কাজ করার মানসিকতা লালন করতে হবে। তিনি বলেন, জাইকার অর্থায়নে পোর্ট কানেকটিং, আগ্রাবাদ একস্সে রোড, পতেঙ্গা স্কুল, মহব্বত আলী স্কুল, আহমদ মিয়া স্কুল, লালদীঘি লাইব্রেরী ভবন, পশ্চিম মাদারবাড়ি ও পূর্ব মাদারবাড়ি স্কুলসহ ১৭ টি প্রকল্প রয়েছে। এই সব প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ২৯৪ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। তাই নগরে চলমান এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজগুলো নির্দিষ্ট সময়ে করতে ঠিকাদারকে পরামর্শ দেন মেয়র। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিয়ম মতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি চসিকের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে নেতিবাচক কোনো কথা বলেন, অথবা এসবের বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর বের হয় তখন আমার খুব কষ্ট লাগে। কারণ উন্নয়ন কাজগুলো হয় জনগণের টাকা দিয়ে। তারা যদি এর কারণে কষ্ট পায় কিংবা এ নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা তৈরি হয় তখন আমাদের বিষয়টি ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি