সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ

53

মানুষ হয়ে মানুষের উপকার করতে হবে। সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। সেবার ব্রত নিয়ে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা একে অপরের সহযোগি। উৎসব যাতে ভাগাভাগি করে নিতে পারি সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বর্তমান সরকারের সময় সকল সম্প্রদায় এক সাথে বসবাস করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। গতকাল ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান ব্যাপটিস্ট চার্জ সংঘে বড় দিনের কেক কাটার পর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অংসুসাইন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব মার্মা, ১নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি, কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন সহ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার প্রবীর খিয়াং। এ ছাড়াও দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের আমন্ত্রনে কাপ্তাই উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আস্রাফ রাসেল ও রাঙ্গুনিয়া কাপ্তাই উপজেলার নানা পেশাবীবীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
খ্রিস্টান সস্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড় দিন চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল এলাকায় যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। খ্রিস্টিয়ান সম্প্রদায়ের লোকজন সকালে গীর্জায় প্রার্থনায় যোগ দেয়। এর পর বড় দিনের উৎসবে মেতে উঠে। সবার ঘরে ঘরে চলে নানা ধরনের আয়োজন।
পুরো এলাকা বর্ণিল সাজে সেজেছে। পুরো খ্রিস্টিয়ান পল্লীর নারী পুরুষ এক সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছে চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতাল, কুষ্ঠ হাসপাতাল, খিয়াং পাড়াকে নানা ভাবে আলোক সজ্জায় সাজিয়েছে। বড় দিন উদযাপনে ঘরে ঘরে খ্রিস্ট মাস ট্রি, নানা পিঠাপুলি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান ও কুষ্ঠ হাসপাতাল আলোক সজ্জা সকলের দৃষ্টি নন্দন হয়েছে। রোগীদের সাথে এ দিন উন্নত খাবার ও শুভেচ্ছা বিনিমিয় করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টান পল্লীর শতাধিক পরিবারে অন্যান্য ধর্মের লোকজন শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।