সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের বাহক ক্যালেন্ডার!

126

দিন, মাস ইত্যাদির নির্দেশক তালিকা হিসেবে ব্যবহৃত হয় ক্যালেন্ডার। ঘরের দেয়ালের ক্যালেন্ডার দেখেই হিসেব করা হয় মাসের দিন ও তারিখের। সময়ের পরিক্রমায় দেয়াল থেকে টেবিলে এমনকি ব্যবহৃত মোবাইল ফোনেও স্থান করে নিয়েছে এ ক্যালেন্ডার। তবে এবার সে দিন-মাস গণনার নির্দেশক ক্যালেন্ডার সে গন্ডিও পেরিয়েছে। ক্যালেন্ডার হয়ে উঠেছে শিল্প ও সংস্কৃতির বাহকও। ক্যালেন্ডারেই তুলে ধরা হচ্ছে সমাজ, সভ্যতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও উন্নয়নকে।
মূলত ক্যালেন্ডারের এ ব্যপ্তি ও পরিধি তুলে ধরতে ব্যতিক্রমী আয়োজন শেষ হয়েছে বন্দর নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে। তিন দিনব্যাপি ক্যালেন্ডার এক্সিভিশনে উপস্থাপন করা হয় বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি ও সংগঠনের সৃজনশীল ও নান্দনিক ক্যালেন্ডারের শৈল্পিক উপস্থাপনা।
বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, কর্পোরেট কোম্পানিসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালের ওয়াল ও ডেস্ক ক্যালেন্ডার প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। শিক্ষা, ইতিহাস ঐতিহ্য, প্রকৃতি-পরিবেশ, সংস্কৃতি, ডিজাইন- মোট ৫ ক্যাটাগরীতে সেরা ক্যালেন্ডার বাছাই করে পুরস্কৃত করা হয়। সেরা ক্যালেন্ডার বাছাইয়ে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন প্রখ্যাত ডিজাইনার রওশনস বুটিকস ও কিডস ক্যাম্পের কর্ণধার রওশন আরা চৌধুরী, ডিজাইনার আইভি হাসান ও শিল্পী খালিদ আহসান ও আজিজুল কদির। ৫ ক্যাটাগরীতে মোট ৮টি প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডারকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। সেরা ক্যালেন্ডার নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এলিট প্রেইন্টস, কেডিএস, সাইফ পাওয়ারটেক, মধুমতি ব্যাংক, বায়েজিদ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএনআইসি, গ্রিন ডেল্টা এবং আরএসআরএম। প্রদর্শনীর আয়োজক ছিলো শিল্পকলা সমীক্ষা সংগঠন সবুজ পাঠশালা, শৈল্পিক বাংলাদেশ এবং অ্যাড ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম পি আর কমিউনিকেশন (পুরান) এবং ব্র্যান্ড প্রমোটর প্রতিষ্ঠান বিবিআই ও মিডিয়া স্কাই ।
ব্যতিক্রমী এই ক্যালেন্ডার প্রদর্শনীর প্রধান সমন্বয়কারী পূরবী দাশ জানান, ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব বর্ণনা করার মতো না। এমন কোনো ঘর নেই যে ঘরে ক্যালেন্ডার নেই। ক্যালেন্ডারের এ চাহিদার কারণে দিন দিন ক্যালেন্ডার প্রকাশে শৈল্পিক উপস্থাপনা নিয়ে চলছে বিভিন্ন গবেষণা। মূলত শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক উপস্থাপনাগুলোকে তুলে আনতেই আমরা ২০১৭ সাল থেকে ক্যালেন্ডার প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছি।
বিভিন্ন কর্পোরেট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, সংগঠন বছরের শুরুতেই প্রকাশ করে ক্যালেন্ডার। সবার সৃষ্টি থাকে ক্যালেন্ডার কত বেশি সুন্দর, সৃষ্টিশীল ও নান্দনিক করা যায় সে দিকে। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবাকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ক্যালেন্ডারে শিল্প, ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ জ্ঞানের নানা শাখার তথ্য তুলে ধরতে দেখা যায়। ঘরের দেয়ালে ক্যালেন্ডারটি কিভাবে সবার দৃষ্টি থাকবে সে প্রচেষ্টা থাকে সবার। অনেকে ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে তুলে ধরেন উন্নয়ন ও কার্যক্রমের চিত্রও। চমৎকার সব ছবির মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় জ্ঞানমূলক নানা তথ্যও।