সংস্কৃতিচর্চা মানুষকে অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখে

31

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে পরিচয় বহন করে তার শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশ। শিক্ষা সংস্কৃতির চর্চা ছাড়া কোনো জাতি সভ্য ও উন্নত হিসেবে বিশ্বে পরিচয় দিতে পারে না। সংস্কৃতি চর্চা জাতিকে অশুভ শক্তি, সকল প্রকার অনাচার, অবিচার ও অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখে। এ জন্য বর্তমান সরকার শিক্ষাকে ঢেলে সাজিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সুস্থধারার সংস্কৃতিচর্চার অবকাঠামো নতুনভাবে সাজিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
গতকাল ‘নব আঙ্গিকে নবযাত্রার’ থিয়েটার ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ৯ মাস পর টিআইসি সাংস্কৃতিক কর্ম-চাঞ্চল্যে ভরে উঠবে। গতকাল সন্ধ্যায় থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ফলক উন্মোচন করে মেয়র নাছির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টিআইসি’র পরিচালক আহমেদ ইকবাল হায়দারসহ বিপুল সংখ্যক সাংস্কৃতিক কর্মী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আরও বলেন, টিআইসি নবনির্মাণে ভারত সরকার এগিয়ে এসেছে। এজন্য তিনি চট্টগ্রামবাসী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ভারতের জনগণ, সরকার এবং ভারতীয় দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ‘চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এখানে নাট্য চর্চার জন্য কোনও অবকাঠামো ও আধুনিক স্থাপনা ছিল না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, ৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মৈত্রীর বন্ধন সুদৃঢ় হয়। এই বন্ধন বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে উত্তরোত্তর আরো সুনিবিড় হয়েছে।
দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরস্পর একই সূত্রে বহমান বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও টিআইসি’র পরিচালক আহমেদ ইকবাল হায়দার বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, ভারত সরকারের সহায়তা ও চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটির আধুনিকায়ন প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ভারত সরকারের অর্থায়নে টিআইসি’র ভিতরে আধুনিকায়নে বিশেষ করে লিফট, মিলনায়তনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, শব্দ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসানো, লাইটিংয়ের কাজের জন্য ভারত সরকার ২ কোটি ৩ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৬ টাকা অনুদান দিয়েছে। এ অর্থায়নে টিআইসি’র অডিটোরিয়াম সংস্কার, আধুনিক লিফট স্থাপন, কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সর্বাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ছাদে ফেইল সংযোজন, ফ্লোর কার্পেটিং, মঞ্চ, ব্যাকস্টেজ, গ্যালারি সংস্কার, টয়লেট সংস্কার ও মেরামত, বহিরাঙ্গন-লোহার সিঁড়ি ও সিকিউরিটি সিস্টেম সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এ হলে আগে ৪২ টন এসি ছিল, বর্তমানে বাড়িয়ে ৮২ টন করা হয়েছে। মিলনায়তনে বসানো হচ্ছে নতুন চেয়ার। আগে মিলনায়তনের দুই পাশে চেয়ার, মাঝে দর্শকদের চলাচলের পথ ছিল, এখন চলাচলের পথ হবে দুই দিকে। এ ছাড়া থিয়েটার ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন মুক্তাঙ্গন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য টিআইসি প্রাঙ্গণে মানুষের বসার ব্যবস্থা করার সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্যবর্ধনে সবুজায়ন, এলইডি লাইটে আলোকায়নের ব্যবস্থা করেছে সিটি কর্পোরেশন। উদ্বোধনের দিনে সমবেত গান, নৃত্য, নাটক ও আবৃতি পরিবেশিত হয়।