সংসদ সদস্য পদ বাতিলে আল্টিমেটাম

60

পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ বাসন্তী চাকমার সংসদে দেওয়া অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পাহাড়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদ চলাকালে নির্ধারিত ১২মিনিটের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত বাঙ্গালিদের নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠে তার তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও আল্লাহু আকবর ধ্বণী ও মুসলিম ধর্ম নিয়ে করা ধর্মবিদ্ধেষী মন্তব্যে এখন উত্তাল পাহাড়। বইছে বিভিন্ন মহলে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়।
ঘটনার পর থেকে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দাবি উঠেছে বাসন্তির অপসারণ সহ গ্রেপ্তারের। আন্দোলনের টানা ৩য় দিনে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে সম্মিলিত সচেতন পার্বত্যবাসী।
গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুইঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধে জেলার সাথে চট্টগ্রাম ও ফেনীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার পাহাড়ি-বাঙ্গালির সাথে দোকানপাট বন্ধ করে রাস্তায় নামেন সাধারণ ব্যবসায়ীরাও। সমাবেশে বাসন্তী চাকমার সংসদ সদস্য পদ বাতিল, গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। অন্যথায় হরতাল-অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাসন্তী চাকমার কুশপুত্তলিকা দাহ করে আন্দোলনকারীরা।
মাননবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মজিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র সামছুল হক, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, ইউপি চেয়ারম্যান হিরণজয় ত্রিপুরা, কাউন্সিলর আলাউদ্দিন লিটন, কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা হুরুনুর রশিদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে বসবাসরত বাঙ্গালি, আইনশৃংখলা বাহিনী ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে সাংসদ বাসন্তি চাকমার গত ২৬ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও উগ্র সাম্প্রদায়িক আখ্যায়িত করে সংসদ সদস্য পদ থেকে তার অপসারণসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন সচেতন পার্বত্যবাসী।