সংসদে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ২০৩১ সালে শেষ হচ্ছে গ্যাসের মজুদ

23

দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ২০৩১ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বৈঠকের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (ব্রাহ্মণাড়িয়া-৫) এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, দেশে বর্তমানে (১ জানুয়ারি, ২০২০ পর্যন্ত) ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে। বর্তমানে দৈনিক দুই হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এ হারে উৎপাদন অব্যাহত থাকলে মজুদ গ্যাস আর ১১ বছর ব্যবহার করা যাবে। প্রতিমন্ত্রীর হিসাব মতে, ২০৩১ সালে মজুদ গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কোথাও বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। তবে, সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতার কারণে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট, লো-ভোল্টেজ, উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পিক-অফপিক আওয়ার বিদ্যুতের লোডের তারতম্য কমানোর বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভোল্টেজ তারতম্যজনিত সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দফতর/সংস্থার শূন্য পদ আট হাজার ৩১৮টি। ল²ীপুর-৪ আসনের এমপি আব্দুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে এলপিজির গ্রাহক প্রায় ৩৮ লাখ।
ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ে ১২ দশমিক ৫ কেজি এলপিজির দাম ৭০০ টাকা। বেসরকারি খাতে বটলিংকৃত প্রতিটি ১২ কেজির সিলিন্ডার খুচরা পর্যায়ে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, আমদানিকৃত এলএনজিসহ বর্তমানে দেশে দৈনিক তিন হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে।
সংরক্ষিত আসনের এমপি গেøারিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাসের সিলিন্ডার নিম্নচাপে (প্রতি বর্গইঞ্চিতে ২৪০ পাউন্ড) তরলীকরণ করা হয় বলে এই সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি খুবই কম। অপরদিকে গাড়িতে ব্যবহৃত সিলিন্ডার উচ্চচাপে (প্রতিবর্গ ইঞ্চিতে ৩০০০ পাউন্ড) তরলীকরণ করা হয় বলে এটা বিস্ফোরণের ঝুঁকি বেশি। তবে, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারে অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে বা নিম্নমানের সিলিন্ডার ব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।