সংলাপ নয়, শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী : কাদের

53

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টসহ যে ৭৫ টা দল সংলাপে অংশ নিয়েছিল তাদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে চান প্রধানমন্ত্রী। এখানে কোনও সংলাপের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না। সংলাপ নয়, শুভেচ্ছা বিনিময় হবে।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনও বিষয় নেই। যে নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনও সংশয় নেই, গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোনও প্রশ্ন নেই সেখানে সংলাপের প্রশ্ন হাস্যকর’। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
১৯ জানুয়ারি বিজয় সমাবেশে কথা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিশাল বিজয় বিশাল দায়িত্ব। বিজয়ী দলের অনেক দায়িত্ব। তাই জনদুর্ভোগকে মাথায় রাখতে হবে। মহাবিজয়ে কেউ যেন মহাদাপট দেখাতে না যান। এ মহাবিজয় থেকে জনগণের কাছে আরও বিনয়ী হবেন’। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কিছুটা জনদুর্ভোগ হতে পারে- এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে আগাম দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
দল ও সরকার আলাদা করার প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিজয়কে যদি সংহত করতে চাই তাহলে আমাদের দল গোছাতে হবে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ বিজয় চাইলে দলের ভেতরের সমস্যা আগে ঠিক করতে হবে। এই সমস্যাগুলো অনতিক্রম্য নয়, অতিক্রম্য’।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ।