সংরক্ষিত আসন থেকে অপসারণের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন

27

পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ বাসন্তি চাকমার অপসারনের দাবিতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত স্বাগত বক্তব্যে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙ্গালীদের নিয়ে দেয়া মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সবুজ পাহাড়। বইছে বিভিন্ন মহলে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদ থেকে তার অপসারনের। সকালে সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া চৌরাস্তায় সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধব ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য নাগরিক অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মো. শাহাব উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তাদের হোসেন, পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদের মানিকছড়ি উপজেলার আহবায়ক আকরাম হোসেন, গুইমারা উপজেলার আহবায়ক মো. আহাদ প্রমুখ। বক্তারা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী ও পাহাড়ে বসবাসরত অবহেলিত বাঙ্গালীদের নিয়ে মহান জাতীয় সংসদে দেয়া বাসন্তি চাকমার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রæততম সময়ে তার অপসারণ দাবী করেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা। এদিকে একই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা সদর এবং মানিকছড়িও মানববন্ধন করেছে সচেতন পার্বত্যবাসী। জেলার ল²ীছড়ি পৃথক পৃথক বিক্ষোভ করেছে বাঙ্গালী ও উপজাতীয় সংগঠন কয়েকটি সংগঠন। সকালে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ করে অবহেলিত বাঙ্গালীরা। এরপর উপজাতীয়দের পক্ষ থেকে বাসন্তি চাকমার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শেষে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। প্রসঙ্গত, মহিলা সাংসদ বাসন্তি চাকমা ২৬শে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সংসদে তার জন্য নির্ধারিত স্বাগত বক্তব্যে বলেছেন, তাঁর যখন ১৬/১৭ বছর বয়স তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো। কিন্তু ঐ সময় যেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নিজেদেরকে “শান্তিবাহিনী” নাম দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো তারাই যে এই অস্ত্রের ঝনঝনানির সৃষ্টি করেছিলো সে বিষয়টি তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। তিনি শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে নিজের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন। ১৯৮৬ সালের ১লা মে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ঐ দিন সেনাবাহিনী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা মিলে “আল্লাহু আকবার” শ্লোগান দিয়ে পানছড়ির দুই তিন গ্রামের পাহাড়িদেরকে জবাই দিয়েছিলো। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে সেনাবাহিনী ও পার্বত্য বাঙ্গালীদের জড়িয়ে আরো কিছু মিথ্যা বক্তব্য দেন। তার এ মিথ্য বক্তব্যে উত্তপ্ত সবুজ পাহাড়।