সংঘর্ষে জড়াল দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা

37

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর জনসংযোগে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দল সমর্থিত ও বিদ্রোহী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীর সদরঘাট থানার বাংলাবাজারে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল কাদের এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
কাদেরের পরিবর্তে আওয়ামী লীগ এবার নির্বাচনে সমর্থন দিয়েছে সাবেক কাউন্সিলর নজরুলকে। তবে কাদের দলের মতের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম বিকালে বাংলাবাজার এলাকায় জনসংযোগে গেলে সেখানে গাড়িতে ওঠা ও স্লোগান দেওয়া নিয়ে কাদের ও নজরুলের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়ায়। এই পরিস্থিতিতে রেজাউল জনসংযোগ বাদ দিয়ে ফিরে যান।
সংঘর্ষে অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে বাবুল দাশ (৪২) নামে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি তিনি বিস্তারিত জানেন না। তবে সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ‘কাজ শুরু করেছে’।
আর সদরঘাট থানার ওসি ফজলুর রহমান ফারুকী বলেছেন, মারামারির বিষয়ে তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল কাদেরের দাবি, রেজাউল করিমের প্রচারণার গাড়িতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতারা উঠতে চাইলে নজরুল ইসলাম বাহাদুরের কর্মীরা তাদের ওপর ‘হামলা’ চালায়।
ওই ‘হামলায়’ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল গণি রিপন ও যুবলীগ সহ-সভাপতি বাবুল দাশ তনয় আহত হন বলে কাদেরের ভাষ্য।
বাংলাবাজার এলাকা থেকে মেয়র প্রার্থীর কমার্স কলেজ এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল জানিয়ে তিনির বলেন, “সেজন্য আমি কমার্স কলেজ এলাকায় অপেক্ষায় ছিলাম উনাকে স্বাগত জানাতে। কিন্তু পরে তিনি জনসংযোগ না করেই ফিরে যান।”
নিজে মনোনয়ন না পেলেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা কেন তার প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না- সেই প্রশ্ন তোলের কাদের।
অন্যদিকে নজরুল ইসলাম বাহাদুর পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “রেজাউল ভাইয়ের আজ জনসংযোগ ছিল বাংলাবাজার এলাকায়। প্রয়াত নেতা আমীর হোসেন দোভাষের কবর জিয়ারত করে বাংলাবাজারে আসার কথা। কিন্তু উনি আসার পথে আব্দুল কাদেরের অনুসারীরা প্রচারের গাড়িতে উঠে স্লোগান দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে আমার ছেলেদের সাথে তাদের হাতাহাতি হয়।”
আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া এই কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, “আব্দুল কাদেরের ছেলেরা অস্ত্র বের করলে আমি আর রেজাউল ভাই গণসংযোগ না করেই চলে আসি। আজকে আর ওই এলাকায় গণসংযোগ হবে না।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “কেউ আমাদের অবহিত করেনি। কেউ অবগত করলে আমরা বিষয়টি দেখব।”
ঘটনার বিষয়ে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।