শ্রীলঙ্কায় মসজিদে পেট্রোল বোমা হামলা, দোকানে অগ্নিসংযোগ

32

শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আটটি স্থানে ভয়াবহ বোমা হামলার পর জাতিগত সহিংসতার শঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে সরকার। তবে এরমধ্যেই দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদের পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলে মুসলিম পরিবারের দু’টি দোকানে।
রবিবার রাতে এই হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর জানায় স্থানীয় পুলিশ। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এর আগে, রবিবার সকালে ও বিকেলে রাজধানী কলম্বো ও এর আশপাশের চারটি হোটেল ও তিনটি গির্জাসহ আটটি স্থানে ওই ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। এতে এখন পর্যন্ত ২৯০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৫০ জন। নিখোঁজও রয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৪ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অবশ্য এই ২৪ জন কোনো সংগঠনের কি-না, তাও নিশ্চিত করে বলা হচ্ছে না। কেউ এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ১০ দিন আগে সরকারকে সতর্কবার্তা দিয়ে জানান, ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত নামে একটি কট্টরপন্থি সংগঠন গির্জাগুলোতে আক্রমণ চালাতে পারে।
শ্রীলঙ্কায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে হামলা চালাতো তামিল গেরিলারা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ‘তামিল ইলাম’ নামে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৮৩ সাল থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসা এই গেরিলাদের প্রধান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণকে ২০০৯ সালে হত্যার মধ্য দিয়ে তাদের দমন করা হয়।