শৈলীর ৩১ বই, স্টলে শৈল্পিক পাঠকের ভিড়

111

আলাদা পরিচিতি থাকায় বইমেলায় শৈলীর স্টলে ভিড় জমছে বেশ। ভিড়ের সাথে বেড়েছে বিক্রিও। বইপ্রেমীদের আগমনে মেলায় প্রাণের উচ্ছ্বাস যেমন আছে তেমনি ভিড়ে স্টলে নিয়োজিত কর্মীদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। এরই মাঝে খুশি মনে বই কিনে ফিরছেন পাঠক-দর্শনার্থীরা।
শৈলী প্রকাশন থেকে এবারের বইমেলায় ৩১টি নতুন বই এসেছে। স্টলে নতুন বইয়ের সাথে মিলছে পুরাতন অনেক বই। শিশু সাহিত্য থেকে শুরু করে ভ্রমণকাহিনী, এমনকি রান্না শেখার বইও পাওয়া যাচ্ছে।
শৈলী প্রকাশনের কর্মকর্তা আরিফ রায়হান বলেন, বইমেলা চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের মেলায় রূপ নিয়েছে। মেলায় পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে। প্রকাশনার জগতে শৈলীর আলাদা পরিচিতি আছে। যার কারণে আমাদের স্টলে ভিড় সবসময় থাকে। সব কিছু মিলিয়ে এবারের মেলার আমেজটা ভিন্ন।
সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল শুক্রবার বইমেলায় ভিড় ছিল বেশি। কেউবা এসেছেন সপরিবারে। সন্ধ্যার দিকে বইপ্রেমীদের আনাগোনায় পুরো স্টেডিয়াম এলাকা ভরে যায়। তারা স্টলে স্টলে নতুন বইয়ের যেমন খোঁজ করছেন তেমনি পুরাতন অনেক বইও কিনেছেন। মেলায় পছন্দের লেখকের বইয়ের খোঁজ করতেও দেখা গেছে পাঠকদের।
শৈলীর স্টলে নিয়োজিত কর্মী তন্ময় চৌধুরী বলেন, শৈলীর প্রতি সবার আলাদা একটি দৃষ্টি থাকে। যার কারণে পাঠকরা অন্যান্য জায়গার চেয়ে শৈলীর স্টলে বেশি ভিড় করে। আমাদেরও সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয়।
৫ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে বইমেলায় এসেছেন ব্যবসায়ী মোছাদ্দেক হোসেন। তিনি বলেন, বইয়ের সাথে পরিচিত করানোর জন্য মেয়েকে মেলায় নিয়ে এসেছি। তার জন্য দুইটা বই কিনেছি। আমি চাই, বইয়ের প্রতি তার একটা ভালোবাসা জন্মাক। এ জন্য মেয়েকে নিয়ে মেলায় আসা। এসে খুবই ভালো লাগছে। এ সপ্তাহের মধ্যে পরিবার নিয়ে আবার আসার ইচ্ছে আছে।
শৈলী প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে-ইফতেখার মারুফের ‘মেঘের রাজ্যে বীথি’, বদরুননেসা সাজুর ‘জেগে ওঠার দিন’, কৌশিক রেইনের ‘ভিজেছি মনের বৃষ্টিতে’, রুমি চৌধুরীর ‘একমুঠো মেঘ’, মিলন বণিকের ‘ঘুমপরিদের আনন্দমেলায়’, লুনা দাশের ‘বিমুগ্ধ আলিঙ্গন’, রুনা তাসমিনের ‘সূর্য নাচে রং তুলিতে’, কল্যাণ বড়ুয়ার ‘চেনা পথে অচিন পাখি’, বিচিত্রা সেনের ‘নীল খাম’, সনজিত দে’র ‘স্বপ্নমাখা ভোর’, বিশ্বজিৎ বড়ুয়ার ‘গাঁয়ের পথে পালকি চলে’।