শেষ সময়ে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা

73

নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ সকাল ৮টায়। মূলত গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল প্রচারণার শেষ দিন। এদিন আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের দেখা মিলেনি।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা দিনভর মাঠে ছিলেন। নির্বাচনী মাঠে দৃশ্যমান প্রচারে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও বিএনপি জোটের প্রার্থীরা ঘরে ঘরে ‘কৌশলী’ প্রচারকেই গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি।
বিএনপি প্রার্থী, নেতাকর্মী, সমর্থকদের অভিযোগ- গণগ্রেপ্তার, হামলা এবং নির্যাতনের ভয়ে তারা বাধ্য হয়েই ভোটের প্রচারে কৌশলী হয়েছেন।
মহানগরীর তুলনায় মফস্বলের আসনগুলোতে ঐক্যজোট প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার বেশি দেখা গেছে। কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে লিফলেট দিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়েছেন, আর তাতে ভালো সাড়াও মিলছে বলে তাদের দাবি।
নগরীর তিনটি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তার সমর্থকরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী জেলে আটক ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন, চট্টগ্রাম-১১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ এমপি, চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে মহাজোট প্রার্থী মইনউদ্দিন খান বাদল প্রচারণা চালিয়েছেন।
সীতাকুন্ড আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিদারুল আলম, ফটিকছড়িতে মহাজোটের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বিএনপির আজিম উল্লাহ বাহার, হাটহাজারীতে মহাজোটের ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ঐক্যজোটের মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, রাঙ্গুনিয়া আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ প্রচারণা চালিয়েছেন। আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পটিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সাংসদ নজরুল ইসলাম, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. আবু রেজা নদভী নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে সরব হলেও বিএনপি চালিয়েছে এক প্রকার নিরব প্রচারণা। কয়েকজন প্রার্থী প্রকাশ্যে চালালেও বেশিরভাগই নিরবে ঘরে ঘরে গেছেন। প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। হামলার ভয়ে বিএনপি প্রার্থীদের অনেকেই প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা।