শেষ মুহূর্তে ঝটিকা অভিযান ট্রাম্প-বাইডেনের

27

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় তাই ঝটিকা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। একজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট, অন্যজন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। দুই জনেরই বাড়তি নজর নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা ‘দোদুল্যমান’ রাজ্যগুলোর ওপর। হোয়াইট হাউজের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে কেউই দোদুল্যমান রাজ্যগুলো হাতছাড়া করতে চাইছেন না। ফলে তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে চলছে জোরালো প্রচারণা। দুই প্রধান প্রার্থীর নির্বাচনি সফর পরিকল্পনায় বোঝা যায় আলাদা করে বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টির গুরুত্ব।
গোটা দেশে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন। তবে নির্বাচনের ফলাফলের অর্ধেকটাই নির্ভর করছে তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গাজ্যগুলো ঠিক কোন দিকে যায় তার ওপর। ট্রাম্প মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি রাজ্য মিশিগান, উইসকনসিন এবং নেব্রাস্কায় যাচ্ছেন যেখানে তিনি ২০১৬ সালে ডেমক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাস্ত করেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য এই ভোট সুরক্ষিত রাখতে তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, ট্রাম্প মিশিগান ও উইসকনসিনে পিছিয়ে আছেন। অবশ্য নির্ভরযোগ্য রিপাবলিকান রাজ্য নেব্রাস্কায় তিনি এগিয়ে আছেন।
এদিকে প্রকাশ্যেই আত্মবিশ্বাসী বাইডেন খানিকটা আক্রমণাত্মক অবস্থানে রয়েছেন। তিনি দক্ষিণের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের দুই জায়গায় প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন। ১৯৯২ সালের পর জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাটরা জয়লাভ করেনি। জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, ওই রাজ্যের ১৬টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট পাবার জন্য বাইডেন ও ট্রাম্পের অবস্থান প্রায় একই স্থানে।
নিয়ম অনুযাযী, যে রাজ্যে যে প্রার্থী সবেচয় বেশি ভোট পান সেই রাজ্যের সবকটি ইলেক্টরাল ভোট তিনিই জিতে নেন। ফলে ৫৩৮ সদস্য বিশিষ্ট ইলেক্টরাল কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক ২৭০টি ভোট পাবার জন্য ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ই উন্মুখ হয়ে রয়েছেন।