শেষ বলের রোমাঞ্চে চট্টগ্রামের পরাজয়

20

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শেষ বলের রোমাঞ্চে জিতেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। টেবিলের শীর্ষ দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। ১৬০ রানের লক্ষ্যে কুমিল্লার জয়ের ভিতটা গড়েছেন আসলে ডেভিড মালান। শুরুর দিকে বাকিদের কাছ থেকে বড় ইনিংস না মিললেও একমাত্র মালানই প্রান্ত আগলে ঝড়ো গতিতে খেলতে থাকেন। ৫১ বলে ৭৪ রান করে ফেলা মালানের ব্যাটেই শেষ ওভারে জয়ের কাছে পৌঁছায় কুমিল্লা। তখন ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। এক চার ও এক ছক্কায় দলের জয়কে সম্ভাব্য করে ফেলেছিলেন আবু হায়দার। কিন্তু যখন ২ বলে ৪ রান প্রয়োজন তখন রান আউট হয়ে শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতির জন্ম দেন মালান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়। তবে শেষ বলে চার মেরেই জয় নিশ্চিত করেছেন নতুন নামা মুজিব উর রহমান। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স জয় পায় ৮ উইকেট হারিয়ে। সানজামুল ইসলামকে ক্রিজে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেয় দলটি, তাতে তার মাঠ ছাড়াকে রিটায়ার্ড আউট বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ চোটের কারণে মাঠে নেই। বদলি ইমরুলেরও একই দশা। তাই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নেতৃত্বে ছিলেন নুরুল হাসান। তার নেতৃত্বে টস হারলেও চট্টগ্রামে শুরুটা ছিল বিধ্বংসী। দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওপেনিংয়ে আসে ১০৩ রান। ১১.৩ ওভারে ৩৪ বলে ৫৪ রান করা সিমন্স ফিরে গেলে শুরুর আধিপত্য আর ধরে রাখতে পারেনি চট্টগ্রাম। তাকে বিদায় দিয়েছেন সৌম্য সরকার। সিমন্স ৩৪ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৪। তার বিদায়ের পরের ওভারে ফিরেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকও। ৩৭ বলে ৪৫ রান করে রান আউটের শিকার তিনি। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার তাড়ায়।
চট্টগ্রামের স্কোরটা সমৃদ্ধ হতো না যদি না শেষ দিকে জিয়াউর রহমান মিনি ঝড় তুলতেন। ২১ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করেন তিনি। ছিল ৪টি ছক্কার মার। তার ঝড়ো ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করতে পারে চট্টগ্রাম। কুমিল্লার হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।