শেবন্দী চর-বরমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামতের ১৪ লাখ টাকা লা-পাত্তা

76

চন্দনাইশ উপজেলার শেবন্দী চর-বরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন সেল্টার মেরামতের জন্য বরাদ্দ পাওয়া ১৪ লাখ টাকার কাজের কাজ কিছুই হয় নাই। মেরামতের কাজ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৭৩ সালের প্রতিষ্ঠিত শেবন্দী চর-বরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মূল ভবন জরাজীর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ১৯৯১ সালে সৌদি সরকার উপকুলীয় এলাকায় মসজিদ, স্কুল, আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সে আলোকে ১৯৯৩ সালে সৌদি সরকারের অনুদানে নিচতলা খালি রেখে ৪তলা বিশিষ্ট আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ করার পর শ্রেণি কার্যক্রম আশ্রয়ণ কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হয়। সে থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ভবনটি আর সংস্কার করা হয়নি। অবশেষে গত অর্থ বছরে ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে ভবনটি সংস্কার, বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার ও ফার্নিচার দেয়ার কার্যাদেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফার্নিচার দিয়ে ভবনের উপরে জলছাদ ঢালাই দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। অথচ জলছাদ ঢালাই করার পরও চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভবনের ছাদ ছুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে বিদ্যালয়ের কাগজপত্র ও আসবাবপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক গৌরি দত্ত। তিনি বলেন, তিন তলায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, বৈদ্যুতিক পাখাগুলো নষ্ট, ভবনের সবক’টি জানালার গ্লাস নেই, নিচতলার ফ্লোর ভেঙ্গে গেছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল নেই, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য শৌচাগার নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অথচ সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামত ও শ্লিপের টাকা দিয়ে থাকেন। সে সকল বরাদ্দের দৃশ্যমান কোন কার্যক্রমও চোখে পড়েনি। এক কথায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নেই বললে চলে। ১’শ ২২ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৫ জন শিক্ষকের স্থলে ৪জন কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেছেন, মেরামতের ব্যাপারে তাদেরকে কোন রকম চিঠি দিয়ে অবহিত না করায় তিনি বলতে পারেননি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেছেন, সারা চট্টগ্রামে ১’শ ১৯টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের মেরামতের টেন্ডার হয়েছে। চন্দনাইশে এ বিদ্যালয়সহ ৩টি প্রতিষ্ঠান মেরামতের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জলছাদ করে ফার্নিচার সরবরাহ করেছেন। বাকি কাজ কিছু দিনের মধ্যে শুরু করবেন বলে তিনি জানান।