শুরুতেই হাওয়া তূর্ণা এক্সপ্রেসের টিকেট

33

রেলওয়ের ‘রেলসেবার’ অ্যাপে ফের বিড়ম্বনায় পড়েছেন টিকেট প্রত্যাশীরা। ২০ জুনের টিকেট গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে দেওয়ার কথা থাকলেও শুরুতেই গায়েব হয়ে গেছে তূর্ণা এক্সপ্রেসের সবকটি টিকেট। অনলাইনে টিকেট নিতে গিয়ে একটি টিকেটও নিতে পারেননি টিকেট প্রত্যাশীরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২১ জুন (শুক্রবার) ঢাকায় কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কয়েক হাজার চাকরি প্রত্যাশী এসব পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। সাধারণত ২১ জুনের পরীক্ষায় অংশ নিতে আগের দিন রাতের তূর্ণা এক্সপ্রেসে করে যান চাকরির প্রত্যাশীরা। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কালোবাজারিরা। বাড়তি দামে টিকেট বিক্রি করতে রেলওয়ের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহযোগিতায় টিকেট নিয়ে বাণিজ্য করছেন তারা। খবর বাংলানিউজের
অ্যাপে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট খালি দেখাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফুল হক বলেন, ২১ জুন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা আছে। এ জন্য গতকাল সোমবার ২০ জুনের রাত ১১টার তূর্ণা এক্সপ্রেসের টিকেট নিতে অনলাইনে চেষ্টা করা হলে, মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় অনলাইনে টিকিটের জন্য চেষ্টা করা হলে টিকেট পাইনি। পরে অনলাইনে ইনফরমেশনে অপশনে গেলে শোভন চেয়ার ও স্নিগ্ধার টিকেট খালি নেই দেখায়।
শুধু তূর্ণা এক্সপ্রেস নয়, ওইদিনের সুবর্ণ এক্সপ্রেস, চট্টলা, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলী ও সোনার বাংলার এক্সপ্রেসের টিকেটও প্রায় শেষ দেখাচ্ছে অনলাইনে।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। স্টেশনের ল্যান্ড ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে রেলসেবার অ্যাপের ন্যাশনাল ডেস্কে যোগাযোগ করা হলে তারাও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এস এম মুরাদ হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এরকম-তো হওয়ার কথা নয়।
ঘণ্টায় ১৫ হাজার টিকেট বিক্রি করার সক্ষমতা নিয়ে অ্যাপটি উদ্বোধন করেছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ওই সময়ে অ্যাপটিতে ৫০ শতাংশ টিকেট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।