শুকরবর্জ্যরে চালান খালাস আটকে গেল হাইকোর্টে

22

মাছের খাবার আমদানির ঘোষণা দিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে শুকরের হাড় ও বর্জ্যযুক্ত প্রাণি খাদ্যের চালানটির খালাস স্থগিত হয়েছে হাইকোর্টের আপিল ডিভিশনের লিভ টু আপিলের আদেশে। গত রবিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কমিশনারের করা লিভ টু আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও জে শরীফ প্রমেক এগ্রোর চালান খালাসের আদেশকে স্থগিত করেন। আগামী ২৫ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে আমদানিকারক প্রমেক এগ্রোর দায়ের করা রিটে হাইকোর্ট পণ্য খালাস দিতে আদেশ দেন। পরবর্তীতে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ। আপিলের আদেশে পূর্বের রায় বহাল রাখা হয়। এতে প্রমেক এগ্রোর পণ্য খালাস দেয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়।
এদিকে গত রবিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম প্রমেক এগ্রোর আমদানি করা ওই চালানটি খালাস হলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা চরম হুমকির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে পণ্য চালান খালাস স্থগিত করতে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, মিট অ্যান্ড বোন মিল মূলত শুকরের বর্জ্য ও উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি। এদেশে এটি মুরগির খাদ্য হিসেবে বেশি ব্যবহার হয়। এ খাবারে মুরগির বাচ্চা এক সপ্তাহেই পূর্ণাঙ্গ মুরগির আকার ধারণ করে। ওই মুরগি খেলে মানুষের ক্যান্সার হতে পারে। এর প্রেক্ষিতে কাস্টম হাউজের পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়। লিভ টু আপিলের আদেশে আটককৃত ওই চালানের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, ‘প্রমেক এগ্রোর আমদানিকৃত চালানটিতে মিট অ্যান্ড বোন মিলের অস্তিত্ব মিলেছে। তিনটি রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আমদানিকারক পণ্য খালাস নিতে নানাভাবে হয়রানি করছে কাস্টমসকে।’