শীতে গ্যাসলাইনে জমেছে তেল নগরে সংকট

47

প্রতি বছরের মতো এবারও শীতে নগরে গ্যাস সংকটে দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা জানান, শীতকালে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার বেশি। এসময় বাসাবাড়িতে ২০ শতাংশ বাড়তি গ্যাস ব্যবহার হয়। গরম পানির ব্যবহার বেশি হওয়ার ফলে, গ্যাসের চুলার ব্যবহারও বৃদ্ধি পায়। খবর বাংলানিউজের
এ ছাড়া শীতে তাপমাত্রা কম থাকায় গ্যাসের স্বাভাবিক যে প্রবাহ তা ঠিক থাকে না। গ্যাসের লাইনে এ সময় তেল জাতীয় পদার্থ জমে যায় এবং গ্যাস ঘন হয়ে যায়। আর গ্যাসের প্রবাহ কমে যাওয়ায় তৈরি হয় গ্যাস সংকট। এজন্য এই সময়ে সংকটও বেশি। ফলে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় এই গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে দৈনিক গড়ে গ্যাসের চাহিদা ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু এর বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
জানা যায়, নগরের হালিশহর, কোতোয়ালী, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, চকবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। জামালখান, রহমতগঞ্জ, আসকারদীঘির পাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল ১০টার পর গ্যাসের চাপ একেবারে কমে আসছে। দুপুর ২টার পর আবার ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়।
হালিশহর এলাকার বাসিন্দা রিমা আকতার বলেন, শীত আসার পর থেকেই গ্যাসের চাপ কমে গেছে। রান্না করতে হয় দুপুরের পর।
কেজিডিসিএলের কর্মকর্তা মোহময় দত্ত বলেন, শীত মৌসুমে গ্যাসের চাহিদা বাড়ে। ঠান্ডায় গ্যাসের লাইনে তেল জাতীয় পদার্থ জমে যাওয়ায় এ সময় গ্যাসের চাপ কমে যায়। তাই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকে।