সীতাকুন্ডে রি-রোলিং মিলের ফার্নেস বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে উপজেলার সোনাইছড়ি শীতলপুর এলাকার শীতলপুর স্টিল মিলস্ এ ফার্নেস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এ.এস.আই মো. আলাউদ্দিন জানান, ভোরে অগ্নিদগ্ধ ৬ শ্রমিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৪ শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন নোয়াখালী এলাকার মন্টু মিয়ার পুত্র শাহ আলম (৫৫), একই এলাকার মোজাফরের পুত্র মো. রিয়াদ (২৫), কুমিল্লা জেলার আলেক মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন (৩২), কুমিল্লা লাঙ্গল কোট এলাকার আবুল কাসেমের পুত্র মহিউদ্দিন (২৫), লক্ষীপুর জেলার নজির মিজির পুত্র মোহাম্মদ মিয়া (৩৫), লাল মনিরহাটের মুজিবুর রহমানের পুত্র আমজাদ হোসেন (৪০)।
সূত্র জানায়, শনিবার ভোরে উপজেলার সোনাইছড়ি এলাকার নাজিম উদ্দিন গংয়ের মালিকানাধীন শীতলপুর স্টীল রি-রোলিং মিলস্ এর পুরাতন লোহার স্ক্র্যাপ বড় বড় পাত ফার্নেসে দেয় শ্রমিকরা। এর কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে ফার্নেসে লোহার পাত বিস্ফোরিত হয়। এতে কর্মরত থাকা ৬ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। আহতবস্থায় অন্যরা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ৪ শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানে ফার্নেস বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. জানে আলম জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে তো আর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। শ্রমিকদের জীবন বাঁচাতে আমরা সবরকম চেষ্টা করছি।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ হারুন পাশা জানান, আমরা শীতলপুর স্টীল মিলস্ ফার্নেস বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যায়। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার কাজে সহায়তা করি এবং অগ্নিকান্ডের বিষয়ে শ্রমিকদের সতর্ক থাকার ব্যবস্থা করি।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মো. জাব্বারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অগ্নিদগ্ধ ৬ শ্রমিকের ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও শীতলপুর স্টীল মিলস্ কারখানাটিতে ফার্নেস বিস্ফোরণ হয়ে ৪ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল। একইভাবে তাদেরকেও চমেক হাসপাতাল থেকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঠিক তদারকির অভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।