শিশু সুরক্ষায় আরো দায়িত্ববান হতে হবে

79

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, শিশুর সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, সমতায়ন, অধিকার আদায়ে বর্তমান সরকার ও ইউনিসেফ কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত শিশুদের সার্বিক কল্যাণেও ইউনিসেফ যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিশুশ্রম বন্ধে সংবিধানেও উল্লেখ করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর শিশু সুরক্ষায় যে সকল উদ্যোগ নিয়েছেন তা অতীতের আর কোন সরকার করেনি। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ, ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে নারী-শিশু নির্যাতন, শিশুশ্রম ও বাল্য বিবাহ রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুদের সুরক্ষার জন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলকে আরো অনেক দায়িত্ববান হতে হবে। মেয়েদের প্রতি আমাদেরকে বেশি যত্নবান হতে হবে। বাসায়, স্কুলে ও পথে ঘাটে তাদের প্রতি সুনজর রাখতে হবে। সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার লোকজন স্বোচ্চার হলে যে কোন ধরনের সহিংসতা থেকে শিশুরা রক্ষা পাবে এবং শিশুর সমান অধিকারে সরকারের যে ভিশন তা বাস্তবায়ন হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্টিত শিশু সুরক্ষা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইউনিসেফ সাহায্যপুষ্ট একসিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল করার লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এপিসি’র প্রকল্প পরিচালক এস এম লতিফের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র
সহকারী কমিশনার সাবরিনা মুস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান, মো. নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ইউনিসেফ’র চট্টগ্রামস্থ চিফ অব ফিল্ড মাধুরী ব্যানার্জী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এপিসি’র প্রোগ্রাম অপারেশন এক্সপার্ট মো. কফিল উদ্দিন কাইয়া। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনুষ্টানের সভাপতি এস এম লতিফ। কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুসরাত সুলতানা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সুলতান মিয়া, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অঞ্জনা ভট্টাচার্য্য, সিটি করপোরেশনের উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নারগীস সুলতানা, স্বপ্নকুঁড়ি শিশু সুরক্ষার পিয়ার লিডার সুমি আক্তার, ইউনিসেফ’র শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা ফ্লোরা জেসমিন দীপা প্রমুখ। কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি ও শিশু সুরক্ষা সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পরিবার ও স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী-শিশু ও কিশোর-কিশোরী বিশেষ করে যারা সবচেয়ে বেশি সুবিধা বঞ্চিত তাদের সুরক্ষা প্রদান করতে হবে যাতে তারা নিরাপদে সামাজিক সোবাগুলো ভোগ করতে পারে। দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার উপযোগী তাদেরকে সমব্যবস্থাপূর্ণ সুস্থ, নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। খবর বিজ্ঞপ্তির