শিশুর মনকে রাঙিয়ে দিতে চিত্রাংকন একটি অন্যতম মাধ্যম

75

ছোট শিশুর মনে নানা রকম দুষ্টামি বিরাজ করে। তারা সবসময় নতুন নতুন ভাবনায় মত্ত থাকে। প্রকৃতি, গাছ-পালা, ফুল-ফল ও পশু-পাখি নিয়ে নিজের ইচ্ছামত ছবি আঁকে। ক্ষুদে আঁকিয়েদের রং তুলিতে সব কিছু মনে হয় চিরসুন্দর। তাই শিশুর মনকে রাঙিয়ে দিতে এবং মানবিকতা বোধ জাগ্রত করতে চিত্রাংকন একটি অন্যতম মাধ্যম। চিত্রশিল্পীরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের চিত্রকর্ম অংকন করে থাকে। তাই চিত্রশিল্পীর রং তুলিতে জাতীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস স্থান পেয়ে থাকে। গত ৬ ফেব্রæয়ারি পরিষদ অঙ্গনে সঙ্গীত পরিষদ আয়োজিত ২৩তম চিত্র প্রদর্শনী ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ২০২০ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তগণ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। পরিষদের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব:) আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত ২দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রবীণ চিত্রশিল্পী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সৌমেন দাশ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদ সম্পাদক তাপস হোড়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আঁলিয়েন্স ফ্রান্সেস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক শিক্ষাবিদ ড. গুরুপদ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পরিষদের আবৃত্তি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক দেবাশীষ রুদ্র। পরিষদের ৪০ জন ক্ষুদে শিল্পীদের অংকিত ১০০টি ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তাদের অংকিত ছবিগুলি উপস্থিত দর্শকবৃন্দ প্রশংসা করেন। তাদের আঁকা ছবিগুলি নিয়ে পরিষদ একটি প্রকাশনা বের করে। উদ্বোধকসহ অতিথিরা প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে পরিষদের সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ধন্য ধন্য বলি তারে শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন পরিষদের সংগীত বিভাগের শিক্ষক বণানী চক্রবর্তী, প্রমিত বড়ুয়া, বহ্নি শিখা মজুমদার, প্রিয়তী বড়ুয়া, ত্রিদিব বৈদ্য, দীপ্ত দত্ত ও প্রান্ত আচার্য্য। চিত্রকলা প্রদর্শনী তত্ত্বাধান করেন পরিষদের চালুকলা বিভাগে শিক্ষক অঞ্চন দাশ, সুখ রঞ্জন হালদার, দীপ্তি মজুমদার ও ইসরাত জাহান। ২দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে আগামীকাল রয়েছে বেলা ২টায় এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পরিষদ অঙ্গনে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। বিজ্ঞপ্তি