শিক্ষার্থীরা জানলো বিজয়ের গল্প

33

৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ ৬৯ হাজার মা-বোনের ইজ্জত আর ১ কোটি শরণার্থীর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের বিজয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ২৬ মার্চ ১৯৭১। সেই দিন বাংলাদেশ দখল করে পাকিস্তানী দখলদার সেনাবাহিনী। এই দখলদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র মানুষ হত্যা, খুন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও নারী নির্যাতন চালায় দীর্ঘ ৯ মাস। বাঙালি জাতি স্বাধীন বাংলাকে মুক্ত করতে রক্ত, ইজ্জত আর ত্যাগ উৎসর্গ করে। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরাজয় স্বীকার করে হানাদার দখলদার পাক সামরিক বাহিনী। সেই দিন থেকে স্বাধীন আমরা। মহান বিজয়ের গল্প বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের শুনানোর জন্য ১২ ডিসেম্বর দুপুরে মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে ৫টি কলেজের দুইশত শিক্ষার্থী আমন্ত্রণ করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ। শিক্ষার্থীদের সমাবেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন চরিত তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম। তিনি তাঁর বাস্তবজীবন ১৯৬৮-১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সনের বিজয় অর্জন পর্যন্ত নানা দিক ও ঘটনা শিক্ষার্থীদের অবগত করান। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ সাহেদুল কবীর চৌধুরী। এতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু, কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ জহির, সহ-সভাপতি ডা. মো: জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর আবদুর রহমান মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম শিপন, আসিফ ইকবাল, শহীদুল ইসলাম সুমন ও প্রচার সম্পাদক বোরহান উদ্দিন গিফারী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি