শিক্ষাবোর্ডে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের নিয়োগ দাবি

47

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের জায়গা পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার ও মুক্তিযোদ্ধা পোষ্যদের নিয়োগের জন্য গত ২২ জানুয়ারি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ পৌঁছলে মুক্তিযোদ্ধারা ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হবার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ভবন প্রতিস্থাপনে নগরীর মুরাদপুরে ৩.৯৮ একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি জায়ামাত জোট ক্ষমতাসীন হলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বরাদ্দকৃত জায়গা থেকে প্রায় ০.৫০ একর জায়গায় ফসিল নামে একটি ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করে। দ্বিতীয়তঃ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক জামায়াতপন্থী। তিনি অনৈতিকভাবে বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের উত্তরসুরীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অনুমতি দিয়ে যাচ্ছেন। তৃতীয়তঃ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি কোন শূন্য পদে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন পোষ্য চাকরী পায় নি। এমতাবস্থায় এ বিষয়ে সুদৃষ্টি ও সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করে শিক্ষা বোর্ডের জায়গা পুনরুদ্ধারসহ সব দাবি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদানের কামনা করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইদ্রিছ, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন সেন, মুক্তিযোদ্ধা জমির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পংকজ দস্তিদার, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফ্ফর, মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া সহ প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা। বিজ্ঞপ্তি