শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দেয়ার অভিযোগ

51

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিলে ফার্স্ট ক্লাস ও প্রথম পিএইচডি করেও জেসমিন আকতার নামে এক প্রার্থীকে বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেনি। এ ঘটনায় নিজেকে যোগ্য দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জেসমিন আকতার।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলা, ইংরেজি, গণিত, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি, ইতিহাস, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিচার্স, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ ও চারুকলা ইনস্টিটিউটে ৩৩ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরমধ্যে চারুকলা ইনস্টিটিউটে একজন সহকারী অধ্যাপক ও তিনজন প্রভাষক নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পিএইচডি গবেষণা থাকলে প্রভাষক পদে প্রার্থীদের যোগ্যতা শিথিলযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু জেসমিন আকতারের অনার্স ও মাস্টার্সে দ্বিতীয় বিভাগ থাকলেও এমফিলে ফার্স্ট ক্লাস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রথম পিএইচডি গবেষণা করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজ থেকে বিএফএ (প্রি-ডিগ্রি) পাশ করেন তিনি।
যোগ্যতা থাকা স্বত্তে¡ও অস্বচ্ছ ও পক্ষপাতমূলকভাবে জেসমিন আকতারকে বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমেদ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। খবর বাংলানিউজের
জেসমিন আকতার বলেন, ছোটকাল থেকে চারুকলা নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল। সেজন্য চারুকলা কলেজ থেকে বিএফএ পাশ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হই। সেখান থেকে দ্বিতীয় বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্সে ৫ম স্থান অধিকার করে চারুকলা নিয়ে এমফিল করি। এমফিলে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম পিএইচডি করি ২০১৪ সালে। তিনি বলেন, আমার এতো কষ্টের গবেষণা (পিএইচডি) কি করবো এখন? কোথায় প্রয়োগ করবো এটি। আমি মনে করি চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রভাষক পদে যোগ্য প্রার্থী আমিই। আমার সঙ্গে তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে বাছাই করার দায়িত্ব বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির। তারা যাদের সুপারিশ করবে, পরবর্তীতে তাদের সিন্ডিকেট মিটিং এ তোলা হয়। হয়তো যোগ্যতা ছিল না তাই ওই প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্ল্যানিং কমিটি জানবে। তারপরও আমি খবর নেবো। লিগ্যাল নোটিশের ব্যাপারে তিনি বলেন, ওই প্রার্থীকে কেন নেওয়া হয়নি, তা সংশ্লিষ্ট কমিটি জবাব দেবে।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্ল্যানিং কমিটিতে থাকা শায়লা শারমিন বলেন, নিশ্চই যোগ্যতা ছিল না, এ জন্য প্ল্যানিং কমিটি বাদ দিয়েছে। যোগ্যতা আছে এরকম ৬০ জনের অধিক প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে।