শাহী জামে মসজিদে ওলামাদের সভা

67

চট্টগ্রামের শীর্ষ ওলামাদের নিয়ে ফিতরা সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ সভা গতকাল বুধবার আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিবের কক্ষে অনুষ্ঠিত। শাহী জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল মাদানীর সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আলেম ওলামা ও মুফতিয়ানে কেরামরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এবারের ফিতরা ৭০ টাকা নির্ধারণ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত ব্যক্ত করেন বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম আল্লামা শাহ মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বায়তুশ শরফ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাওলানা সাইয়্যেদ আবু নোমান, চট্টগ্রাম দারুল উলুম কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুল আলম ছিদ্দিকী, বায়তুশ শরফ মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, চবির অধ্যাপক ড. মাওলানা নিজামুদ্দিন, পতেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ, দারুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস মুফতি আহমদুর রহমান নদভী, জাতীয় ইমাম সমিতির চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা ফারুক ছিদ্দিকী, জাতীয় ইমাম সমিতি চট্টগ্রাম নগর সহসভাপতি মাওলানা জালাল উদ্দিন আনোয়ারী, কাট্টলী জাকেরুল উলুম মাদরাসার মোহাদ্দিস ও জাতীয় মুফাস্সির পরিষদের নগর সভাপতি মুফতি মাওলানা আবু হানিফা নোমান, দারুল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, জাতীয় ইমাম সমিতির চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি মাওলানা কাজী জাফর, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা জসিম উদ্দিন, টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আখতার হোসাইন ও হাসান মুরাদ।
সভায় বলা হয়, পাঁচটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বৈধ। গম, যব, খেজুর, কিশমিশ ও পনির। গমের পরিমান হচ্ছে অর্ধ সা তথা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম। অন্য পণ্যগুলো ৩ কিজে ৩০০ গ্রাম।
সভায় বাজার দর যাচাইবাছাই করে এবং শরীয়াহর দৃষ্টিভঙ্গিকে পর্যালোচনা করে, গরীবদের প্রতি সহানুভুতির কথা বিবেচনায় রেখে এবারের ফিতরা ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সভায় দেশের সর্বস্তরের মুসলমানদেরকে ৭০ টাকা হারে ফিতরা আদায় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। ঈদুল ফিতর নামাজের আগেই ফিতরা আদায় করা মুস্তাহাব।