শাহাদাতসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

33

নগরীর চান্দগাঁও মনোরমা আবাসিক এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে নুরুল আনোয়ার বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় নগর ছাত্রদলের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহকেও আসামি করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ওসি আবুল বাশার জানান, ঘটনার শিকার হওয়া নুরুল আনোয়ার থানায় এসে অভিযোগ দেয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। এরপর থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে চান্দগাঁওয়ের মনোরমা আবাসিক এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাড়িতে হামলা করে একদল যুবক। তারা ঘরের দরজা-জানালার কাচ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। নুরুল আনোয়ার চন্দনাইশ সদর ইউপির চেয়ারম্যান ও পৌরসভার প্রশাসক ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং চন্দনাইশ পৌর বিএনপিরও সভাপতি।
নুরুল আনোয়ার জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চান্দগাঁও মনোরমা আবাসিক এলাকায় তার বাড়িতে নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক সভায় সাংগঠনিক কমিটি গঠন নিয়ে তিনি ডা. শাহাদাতের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। এসব শুনে ডা. শাহাদাত তার উপর ক্ষুব্ধ হন। হামলার দিন সকাল ও বিকালে ডা. শাহাদাত মোবাইলে কল করে তাকে হুমকি দেন। বিকালে হুমকি দেয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে গাজী সিরাজের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক তার বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
তবে হামলার নির্দেশের কথা অস্বীকার করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কারও ওপর হামলা-ভাঙচুরের কোনও রেকর্ড নেই। শুনেছি উনার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা কাটাকাটি হলে উনি গালমন্দ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী উনার বাসায় হামলা চালিয়েছে।’
নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ বলেন, নুরুল আনোয়ার সাহেবের ছেলের গাড়ি স্থানীয় এক ছেলেকে ধাক্কা দিলে ড্রেনে পড়ে তার হাত-পা ছিঁড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা মেডিকেল নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়। চিকিৎসায় সহায়তা না করে আনোয়ার সাহেবের ছেলে স্থানীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তখন স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর করেন। এখানে আমি বা শাহাদাত ভাই থাকার তো প্রশ্নই আসে না।