শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ স্ব-স্ব ধর্ম পালন করছে

148

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ জাফর আলম বলেছেন, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ এখন অসম্প্রদায়িক চেতনার জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের স্ব-স্ব ধর্ম পালন করছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যতদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ততদিন পর্যন্ত ধর্ম পালনে কোন সমস্যা হবেনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশ সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে চলে গিয়ের্ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দেশ আবারও অসম্প্রদায়িক রাষ্ট হিসেবে রূপ পায়। তিনি আরও বলেন, ধর্ম পালনের পাশাপাশি মানুষকে সব ধরনের হিংসা-বিদ্ধেষ পরিহার করে দেশের কল্যানে সবাইকে এক থাকতে হবে। শুক্রবার রাতে চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর স্মরণে আয়োজিত মহতী ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চিরিংগা যুব কল্যাণ সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার তেজেন্দ্র লাল দে’র সভাপতিত্বে এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া পৌরসভা শাখার সভাপতি নারায়ন কান্তি দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত ধর্মসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ধনরঞ্জন দাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ভারতের বারাসাতের চব্বিশ পরগানা জেলার শংকর বেদান্ত মঠ ও মিশনের প্রতিষ্টাতা শ্রী শ্রী ১০৮ স্বামী বিবোধানন্দ সরস্বতী মহারাজ। অনুষ্ঠানে আর্শিবাদক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর শ্রী চিন্তাহারী সাধনপীঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী মহানন্দ পূরী মহারাজ। ধর্মসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রেজাউল করিম, হরি মন্দির উন্নয়ন কমিটির উপদেষ্ঠা হারাধন দাশ, চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি প্রদীপ কান্তি দাশ, চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, পৌরসভা পুজা কমিটির সভাপতি টিটু বসাক, চিরিংগা যুব কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ সুশীল, মহোৎসব উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ, সহ-অর্থ সম্পাদক কালু শুক্লা দাশসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিদের সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আজ সোমবার ভোরে পূর্ণাহুতির মাধ্যমে চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে। অনুষ্ঠানে আগত ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা করেন অনুষ্ঠানের আয়োজকগন।