শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে অন্নকূট মহোৎসব

65

নগরীর পাথরঘাটাস্থ শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরের ভক্তবৃন্দের উদ্যোগে শ্রী মৎ শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজের পৌরহিত্যে গত ১ নভেম্বর শুক্রবার ১০৮ রকমের অধিক ব্যঞ্জন ও সাধ্যাতীত বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী দিয়ে গিরিগোবর্দ্ধন পূজা ও অন্নকূট উৎসব করা হয়। আয়োজিত অনুষ্টান সূচীর মধ্যে ছিল উষালগ্নে মঙ্গল আরতি, সিঙ্গার আরতি, দেশের ও বিশ্বের শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা, সাড়ে ১১ টায় গিরিগোবর্দ্ধনের পূজায় ভোগ নিবেদন ও অন্নকূটের মহোৎসব, ভোগদর্শন, দুপুরে প্রসাদ বিতরণ ও বিকালে ভাগবত আলোচনায় গিরিগোবর্দ্ধন পূজা ও অন্নকূট মহোৎসবের মাহত্ম নিয়ে এক মহতী সভার অনুষ্ঠিত হয়।
গিরিগোবর্দ্ধন পূজা ও অন্নকূট মহোৎসব নিয়ে অনুষ্ঠিত ভাগবতীয় আলোচনা সভায় শ্রীমৎ শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ মহারাজ বলেন লোকাচারী ধর্ম নয় বৈদিক শাস্ত্রের বিধি দিয়ে ধর্মীয় আচার পালন কর্তব্য ও দায়িত্ব। লোকাচারের মাধ্যমে ইন্দ্রের পূজায় বাধ সাধলেন ৭বছর বয়সে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ-তিনি নন্দমহারাজকে জিজ্ঞাসায় জানতে পারেন ফসল উৎপন্নের জন্য বৃষ্টি, গাভী পালনের জন্য ইন্দ্রের পূজা করেন। নন্দমহারাজসহ সকলকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন সমুদ্রেও বৃষ্টি হয়-তার কি ফল হয়। এটা আপনাদের ভুল ধারনা । তাই আপনারা যা আয়োজন করেছেন তা দিয়ে গোবর্দ্ধনের পূজা করুণ-কারণ গোবর্দ্ধনই আপনাদের খাদ্যশস্য, গাভী পালনে, জীবন ধারণে ও উন্নতিসাধনে সর্ব্বত্মক সহায়তা করে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমন সকলের আরাধ্য তেমন ধাম বৃন্দাবন এবং গোবর্দ্ধন পর্বত আরাধ্য। গোপগন সমস্ত আয়োজন জড়ো করলে পাহাড়রুপ ধারণ করলো। সে পাহাড়টি ছিল অন্নের পাহাড়Ñ যা গিরিগোবর্দ্ধনকে নিবেদন করা হয়। ইন্দ্র ক্রোধান্বিত হয়ে প্রবল বর্ষন করতে থাকে-তাই ভগবান ক্রোধ ধ্বংস করার জন্য কনিষ্ট অঙ্গুলী দিয়ে গোবর্দ্ধন পর্বতকে উপরে তুলে ছাতারমত ধরে রাখেন-ফলে কোন গোপবাসীর কোন ক্ষতি হয়নি। ইন্দ্র বুঝতে পারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট ক্ষমা চান।
আলোচনায় আরও অংশ নেন সদাচারী গৃহস্থ বৈষ্ণব অধ্যাপক বাবুল দে, পরম বৈষ্ণব বলরাম দাস, সীতা নাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুর দাস প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি