শাজাহান খানের মেয়ে আটকে গেলেন বিমানবন্দরে

31

বিদেশ যেতে ‘করোনাভাইরাসমুক্ত’ লেখা যে সনদ নিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে, যাচাইয়ে তার সত্যতা না মেলায় না গিয়েই ফিরতে হল তাকে।
সাবেক নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান রোববার লন্ডন যেতে চেয়েছিলেন।
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আইশৃঙ্খলা বাহিনীর এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, বিমানের দুপুরের ফ্লাইটে লন্ডন যেতে ঐশী খান ইমিগ্রেশনে করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ সনদ দিয়েছিলেন,
কিন্তু ইমিগ্রেশন পুলিশ খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয় যে তিনি করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’। এরপর তাকে আর লন্ডন যেতে দেওয়া হয়নি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জিজ্ঞাসায় বলেন, লন্ডনগামী বিজি ০০১ ফ্লাইটের একজন যাত্রীকে ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে একজন যাত্রীর পাসপোর্ট নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে আমাদের সার্ভারে দেখতে বলা হল, তার করোনাভাইরাস পজিটিভ কিনা। আমরা সার্ভারে দেখি তার করোনা ভাইরাস পজিটিভ। এরপর তাকে আর দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি।
ফেরত পাঠানো যাত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান কি না- প্রশ্ন করা হলে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জহিরুল বলেন, আপনারা যা জেনেছেন, সেটা সঠিক। তিনি ভিআইপি এলাকাতে অবস্থান করছিলেন।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান বলেন, এই বিষয়টা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা দেখেছেন। তারা কী করেছেন বা পুরো ঘটনাটা কী, সেটা আমাদের অফিসিয়লি জানাননি।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজি মীর শহীদুল ইসলাম বলেন, ঐশী খান কোভিড-১৯ প্রতিবেদনের হার্ড কপি নিয়ে এসেছিলেন, যেখানে নেগেটিভ লেখা ছিল। পরে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক এবং ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে পজিটিভ দেখতে পায়। তার সাথে আনা কপির সাথে ওটার মিল হচ্ছিল না। পরে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিডিনিউজের খবর