চকরিয়া পৌরশহরের চিরিংগায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে শতাধিক ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় অবৈধভাবে গাড়ি পাকিং করার দায়ে দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান।
অভিযানে মেয়াদত্তীর্ণ ওষুধ ও দোকানের সামনে মালামাল রাখার দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহবাজ খান, চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল বাতেন, উপজেলা আইসিটি টেকনেশিয়ান আরশাদুল হক ও সেনেটারি ইন্সপেক্টরসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, চকরিয়া পৌরশহরের চিরিংগাকে পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত রাখতে সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালানো হয়। এসময় সড়ক ও ফুটপাতে ভাসমান দোকান বসিয়ে গাড়ি এবং পথচারীদের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় শতাধিক ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ওষুধের দোকান গুলোতে মেয়াদত্তীর্ণ ওষুধ রাখা এবং দোকানের সামনে অবৈধভাবে মালামাল রাখার দায়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ইউএনও আরও বলেন, চকরিয়া পৌর সদরের পুরাতন এস আলম কাউন্টার ও আশপাশ এলাকার গাড়ির কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। সড়কে যততত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে মাল লোড-আনলোড করার দায়ে দুটি গাড়ি জব্দ করার পাশাপাশি পৌরশহরের আবাসিক হোটেল ডি-ফোর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ যুবক-যুবতীকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে পৌরশহরে কোনভাবেই ভাসমান দোকান বসানো যাবেনা। পুরাতন বাস টার্মিনালে থাকা কাউন্টারগুলোকে অবশ্যই নির্দিষ্ট বাস টার্মিনালে চলে যেতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
