‘শঙ্কামুক্ত নয়’ হাসপাতালের ৯ জনও

51

চকবাজারে চুড়িহাট্টায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন নয়জনের কারও অবস্থাই ভালো নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের এখানে নয় জন রোগী আছে। তাদের একজনও আশঙ্কামুক্ত না। আমরা সবাইকে আইসিইউতে ট্রান্সফারের চিন্তা করছি। অলরেডি আমরা পাঁচজনকে ট্রান্সফার করেছি, আর চারজন আছে।” খবর বিডিনিউজের
আইসিইউতে স্থান সংকটের কারণে তাদের এখনও স্থানান্তর করা যায়নি জানিয়ে সামন্ত লাল বলেন, “আইসিইউতে অনেক মুমূর্ষু রোগী আছে। যে কয়জনকে শিফট করা যাবে, তাদেরকে শিফট করে আমরা এই রোগীদের প্রাধান্য দেব।”
রোগীদের অবস্থা সম্পর্কে এই চিকিৎসক বলেন, বার্ন ইউনিটে প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় কিছুই বলা যায় না, কেউ ঝুঁকিমুক্ত না। কেমিকেল বার্ন কোনো সময় সুপারফিশিয়াল বার্ন হয় না, ডিপ বার্ন হয়। এই রোগীদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।”
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে সোহাগের (২৫) শরীরের ৬০ শতাংশ, রেজাউলের (২১) শরীরের ৫১ শতাংশ, জাকিরের (৩৫) শরীরের ৩৫ শতাংশ, মোজাফফরের (৩২) শরীরের ৩০ শতাংশ এবং আনোয়ারের (৫৫) শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়েছে। আর ওয়ার্ডে থাকা হেলালের (১৮) শরীরের ১৬ শতাংশ, সেলিমের (৪৪) শরীরের ১৪ শতাংশ, মাহমুদুলের (৫২) শরীরের ১৩ শতাংশ এবং সালাহউদ্দিনের (৪৫) শরীরের ১০ শতাংশ পুড়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।

 

‘অবহেলাজনিত
প্রাণনাশের’
মামলা

পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত প্রাণনাশ’ এর অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। আগুনে জীবন্ত দগ্ধ আরাফাত ইসলাম সিয়ামের (১৯) আত্মীয় হাবীবুর রহমান রুবেল শুক্রবার চকবাজার থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান জানান। চকবাজারের চুড়িহাট্টা মোড়ের হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাজি আবদুল ওয়াহেদের দুই ছেলে শহীদ ও হাসানসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১০-১২ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের
উপ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন, মামলায় দন্ডবিধির ৩০৪ (ক), ৪৩৬, ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত প্রাণনাশ, নাশকতা, মালামালের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চকবাজার থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে এ ঘটনায়।