লোহাগাড়ায় হামলার শিকার পরিবারকে উল্টো মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

15

লোহাগাড়ায় আদালতের নিষেজ্ঞা অমান্য করে মৌরশী ভূমি জবর-দখলচেষ্টায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলার শিকার এক নির্যাতিত পরিবারকে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত পরিবারের সদস্য আছমা পারভীন মুন্নি (৩০)। গত ১০ জুলাই শুক্রবার দুপুর ১২টায় লোহাগাড়া উপজেলা সদর বটতলী মোটর স্টেশনস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আছমা পারভীন মুন্নি লোহাগাড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের রশিদের পাড়ার মৃত আব্দুল গণি মাষ্টারের মেয়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আছমা পারভীন মুন্নি জানান, লোহাগাড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের রশিদের পাড়ায় আমাদের বসতভিটা ও তৎসংলগ্ন মৌরশী ভূমি আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তা অমান্য করে বার বার জবর-দখল করার পায়তারা চালিয়ে আসছিল প্রতিপক্ষরা। এ লক্ষে প্রতিপক্ষরা আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রাণে হত্যা করিবে মর্মে প্রকাশ্যে হুমকি-ধমকি দিলে আমি প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকি ও ভূমি জবর-দখলচেষ্টার আশংকার তথ্য জানিয়ে গত ৬ জুলাই রাতে প্রতিপক্ষ সাইদুল আলম, জহিরুল আলম, দিদারুল আলম রাসেল ও আব্দুল নুর তুষারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় লিখিত একটি সাধারণ ডায়রী (নং-২২৭, তারিখ- ০৬/০৭/২০) দাযের করি।
থানায় ডায়েরি দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিপক্ষরা তড়িঘড়ি করে গত ৭ জুলাই সকালে ভূঁয়া, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করেন। এরপর একইদিন বিকেলে বাড়ী যাওয়ার পথে আমার ওপর শারিরীক আক্রমণ করেন প্রতিপক্ষরা। আক্রমণের বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে জানালে আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তারা। সর্বশেষ গত ৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দেশীয় তৈরী অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে আমাদের বসতভিটার টিনের ঘেরা-বেড়া ও পাকা পিলার ভাংচুর করে। এরপর আমাদের জায়গায় ইট, বালি ও সিমেন্ট স্তুপ করত: জোরপূর্বক বাড়ী নির্মাণ কাজ করতে থাকে। এসময় আমার বড়বোন শাহেদা বেগম কুসুম গিয়ে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখম করে। বড়বোনের আতœচিৎসারে আমি প্রতিপক্ষের হাত থেকে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমাকেও মারাতœকভাবে আঘাত করে তারা।
এসময় তারা আমার মোবাইল ও নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও বসতভিটার ৪০ হাজার টাকার ঘেরা-বেড়া ভাংচুরসহ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করি। আমাদের ওপর হামলা করে উল্টো আমাদেরকে ফাঁসিয়ে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে আমাদের আসামি করে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষরা।
পরে অবশ্য আমি বাদী হয়ে দাযের করা অভিযোগটিও মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন। লোহাগাড়া থানার মামলা নং-১১, তারিখ : ০৮/০৭/২০২০। এ মামলায় সাইদুল আলমসহ প্রতিপক্ষের ১২ জনকে আসামী করা হয়। এদিকে, মামলা দায়ের করার পর আসামীরা বসতবাড়ীতে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ভূক্তভোগী আছমা পারভীন মুন্নিসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তাঁরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়।