লোহাগাড়ায় বি.জি সেনের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী

129

দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে লোহাগাড়া উপজেলার বি.জি সেনের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রæয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রাম জেলা পিপি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এড. এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে সেনের হাটের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে। শোভাযাত্রায় অনুষ্টানের উদ্বোধকসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। জয়ন্তী উৎসবের প্রথম অধিবেশন সকাল ১১টায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্টান উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্মৃতিচারণ করেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক আহমদ কবির, অধ্যাপক নুরুল আবছার, পুলিশ পরিদর্শক ওসমান গনি, রফিকুল ইসলাম, বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জুনাঈদ চৌধুরী ও রাঙ্গামাটি জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেন। বিকেল ৩টায় উৎসবের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রাক্তন শিক্ষক, গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠি হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ।
উৎসব পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রাম জেলা পিপি এড. এ.কে.এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এড. সুনীল বড়ুয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরী, এইচ.এম ফজলুল কাদের, স্কুল গর্ভণিং বড়ির সভাপতি আনোয়ার কামাল, প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন, ফারুক আহমদ, লালেন্দ্র কুমার বড়ুয়া, চিত্ত রঞ্জন ধর, হেলাল উদ্দিন, কামরুল হুদা ছিদ্দিকী, আবু তাহের ও সাজেদুর রহমান দুলাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রাক্তন ছাত্র মোস্তাক আহমদ। এদিকে, বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুরো বিদ্যালয়টি সাজানো হয়। বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিদ্যালয় চত্বরটি যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে ৫০ বৎসর পুর্তি উৎসব সুবর্ণ জযন্তী উপলক্ষে মোহনা স্মরণিকা বই বের করা হয়। উল্লেখ্য, বি.জি সেনের হাট উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, বি.জি.সেনের হাট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপুর্ন অবদান রেখে আসছে। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আজ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। বি.জি সেনের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব নবীন-প্রবীণদের যে মিলন মেলা তা মৈত্রীর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।