লোহাগাড়ায় জমির টপসয়েল কেটে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র

25

লোহাগাড়ার আমিরাবাদের হাজারবিঘা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারসহ ২০টি পরিবারের আবাদি জমি থেকে জোরপূর্বক টপসয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। গতকাল এমন অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্তরা।
আবেগাপ্লুত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, থানা যুবলীগের আহবায়ক বাদশা খালেক ও তার বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে জমি থেকে প্রায় ২০/২৫ ফুট গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নিচ্ছে। তার ভয়ে এলাকাবাসী কোনও প্রতিবাদ করতে পারছে না। সম্প্রতি তার এ হরিলুটে অভিযান চালাতে গিয়ে লোহাগাড়ার ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা মারধরের শিকার হন। সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হওয়ার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছি।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজ আমি বড়ই ক্লান্ত ও অসহায়। এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী, একাধিক খুনের মামলার আসামি, বালু দস্যু বাদশা খালেদ হাজারবিঘা গ্রামে বিভিন্ন লোকের জমি থেকে বোলডোজার দিয়ে টপসয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। জমি থেকে জোর করে প্রায় ২০/২৫ ফুট গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে গেলেও কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করতে পারছি না। কেউ প্রতিবাদ করলে লোহার রড, হাতুড়ি এবং বাম দা নিয়ে কুপিয়ে আহত করছে। নারী-শিশুদের পর্যন্ত অত্যাচার করছে।
প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলে গত ৪ ডিসেম্বর লোহাগাড়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এলাকায় পরিদর্শনে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় বাদশা খালেদের বাহিনী। এ বিষয়ে বাদশা খালেদসহ তার বাহিনীর লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারপরও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাপসী দাশ বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনীটি এতই শক্তিশালী যে, এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। এলাকার অধিকাংশ সংখ্যালঘুর ভিটে ও ফসলি জমি থেকে জোর করে মাটি নিয়ে গেলেও কেউ কিছু বলতে পারছে না। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।