লোহাগাড়ায় ঘুষের টাকা ফেরত দিল লাইনম্যান

50

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ছরওয়ার জাহানের হস্তক্ষেপে ঘুষের টাকা গ্রাহককে ফেরত দিল লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম গ্রাহকের কাছে এ টাকা হস্তান্তর করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম গ্রাহক প্রতুল কান্তি দাশের কাছ থেকে ৩৫ হাজার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এনে ডিজিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পশ্চিমে দাশ পাড়ার বাসিন্দা। তিনি ও রাহুল দাশ আবাসিক লাইন থেকে ‘হুক টেনে’ মুরগীর ফার্মে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়। বিষয়টি দালাল চক্র জিয়াবুল, এরশাদ, আশিষ, দেরাছ ও পদুয়া সাব স্টেশনের ডিউটিরত লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম জানতে পারেন। ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে তারা ফার্মে গিয়ে একজনকে ডিজিএম ও আরেকজনকে এজিএম পরিচয় দিয়ে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করেন। তারা (অভিযোগকারী) ৩৫ হাজার টাকা ‘জরিমানা’ আদায় করে। পরে জানা যায় লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম ছাড়া অন্যরা অফিসের কেউ নয়।
ডিজিএম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এজিএম (ওএন্ডএম) প্রশান্ত বিশ্বাস ও ইসি জাহাঙ্গীর আলমসহ দু’সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হয় এবং লাইনম্যান আবদুল কাইয়ুম থেকে টাকা উদ্ধার করে গ্রাহক প্রতুল ও রাহুলকে ফেরত দেন। গ্রাহক প্রতুল ও রাহুল তাদের বৈধতা ফিরে পাওয়ার জন্য অফিসিয়াল রশিদ নং- ৭৪৫৫৫৫ ও ৭৪৫৫৫৬ মূলে নগদ ৩৭ হাজার ২৭৮ টাকা জরিমানা পরিশোধ করেন।
ডিজিএম ছরওয়ার জাহান জানান, তিনি সম্প্রতি চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ লোহাগাড়া জোনাল অফিসে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে গ্রাহকদের যথাযথ সেবা প্রদানে সচেষ্ট রয়েছেন। অফিসকে দালাল, টাউট, বাটপারমুক্ত রেখে অফিসের নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে বিনা হয়রানিতে মিটার সরবরাহ করে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, আবদুল কাইয়ুম ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।