লোহাগাড়ায় কলেজ ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ

43

লোহাগাড়ায় মোস্তফা আল হোসাইন ইমরান (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রকে মারধরের পর পার্শ¦বর্তী পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচাকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার উত্তর চরম্বা দেওয়ান আলী সিকদার পাড়ার দোকানের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই একই এলাকার মৃত আহমদুল্লাহর ছেলে নুরুল আবছার, তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ও শামসুল আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন হেলালীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কলেজ ছাত্র মোস্তফা আল হোসাইন ইমরান।
ভুক্তভোগী পটিয়া সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র ইমরান জানান, গত ৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমি স্থানীয় দোকানে বাজার করতে গেলে স্থানীয় নুরুল আবছার কথা আছে বলে আমাকে ডেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে কিল-ঘুষি-লাথি মারতে মারতে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে টানা-হেঁচড়া করলে আমি জোরে চিৎকার দিই। ফলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের এএসআই শ্যামল দত্ত সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়। এতে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ আমার চাচা শফিক আহমদ সিকদারকে গলা টিপে ধরে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন ও এএসআই শ্যামল দত্ত প্রতিপক্ষদের হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। প্রতিপক্ষরা আমি এবং চাচাকে মারধর করেও ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই পূণরায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
ঘটনা তদন্তে যাওয়া এএসআই শ্যামল দত্ত বলেন, গত সোমবার বিকেলে কলেজ ছাত্র ইমরানের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্তে গিয়েছিলাম। আমি তদন্ত করে যথারীতি চলে আসি। আসার পথে খবর পেলাম বাদি-বিবাদি কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই অজয়দেব শীলকে পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।