লোভের স্ফুলিঙ্গে অঙ্গার মানব জীবন

62

বাংলাদেশে আশংকাজনকভাবে অগ্নিকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। যা দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও বিভিন্ন কারণে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হচ্ছে। জানা মতে, বিগত দশ বছরে সারদেশে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ১৬ হাজার অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। ১৬,১৫৬ জন নিহত হন। এ বছরের ২০ ফেব্রæয়ারি ঢাকা চকবাজারের চুরিহাট্টা লেনের ৭৮ জনের পোড়া লাশের গন্ধ শেষ হতে না হতে ২৮ মার্চ ঢাকার বনানীর এফ, আর, টাওয়ারে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে ২৬ জন জীবন্ত দগ্ধ হয়্। সর্বশেষ ঢাকার গুলশান-১ ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক দোকানপাট ভষ্মিভূত হয়। ২০১৭ সালের ৩ জুলাই গাজীপুরের ম্যালটিফ্যাবসে ১৩ জন। ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ট্রাম্পকো ফয়েলস কারখানার অগ্নিকান্ডে ৪১ জন। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি গাজীপুরের গরিব এন্ড গরিব গার্মেন্টসে নিহত হন ২১ জন। ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ ও ২০১৬ সালের ২১ আগষ্ট দু’দফা বড় ধরণের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে অভিজাত বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন গার্মেন্টসের ভয়াবহ অগ্নিকাÐে ১১৫ জন। ২০১০ সালের ০৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে স্মরণাতীতকালের অগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে ১২৪ জন। ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর আশুলিয়ায় দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যারে ২৯ জন। ২০০৬ সালের চট্টগ্রামের একটি পোষাক শিল্প কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৬৫ জন। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জে একটি পোষাক কারখানায় ২০ জন শ্রমিক। ২০০৪ সালের মে ও ডিসেম্বরে নরসিংদীতে দুটি গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ২১ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। ২০০১ সালের আগষ্টে দুটি বড় ধরণের অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। ঢাকার মিরপুরের অগ্নিকান্ডে ২৪ জন শ্রমিক ও কাফরুলের ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন। তাছাড়া ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল স্মরণকালের সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যজিডিতে প্রায় সাড়ে এগারশ লোক নিহত হন।
নিমতলী ও চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষযক্ষতির কারণ হিসেবে দাহ্য পদার্থের অসর্তক ব্যবহার ও মজুদের অনিরাপদকে দায়ি করা হয়। বনানীর এফ, আর টাওয়ারের অগ্নিকান্ড অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। সেখানে ইমারত আইন অনুসরণ না করে রাজউকের সাথে যোগসাজশে ভবন মালিক ১৫ তলা দালানকে ধাপে ধাপে ২৩ তলায় রূপান্তর করেছিল। ছিল না এক্সিট সিড়ির অপ্রশস্ততা। ছিল না পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন সামগ্রী। সেখানে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষের আকুতি। লোকজনকে সহােগিতার জন্য আর্তনাদ। লোকজন প্রাণ রক্ষার্থে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন। তার বেয়েও অনেককে বিভিন্নতলা থেকে নীচে নামতে দেখা যায়। অধিকাংশ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত একই বাসভবনের নীচে গুদামে সংরক্ষিত রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ ও বৈদুতিক গোলযোগের কারণে। নিমতলী ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর গঠিত সরকারের টাস্কফোর্স ১৭টি সুপারিশ করেছিল, কিন্তু এক দশকেও তা বাস্তবাায়ন হয়নি। এসব অগ্নিকান্ডের দায় তো অনেেেকর, কিন্তু দায়িদের বিরুদ্ধে কোন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণটাও বিপুল।
তথ্য মতে, চট্টগ্রামে ৫৪টি বিপনী বিতান,৬৬৬টি সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫০৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগস্টিক সেন্টার অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব বিপনী বিতানগুলোতে অগ্নি নির্বাপনের জন্য নিজস্ব কোন ব্যবস্থা নেই। সরু গলি, অপ্রশস্ত রাস্তা থাকায় সেখানে ফায়ার সাভিসের গাড়িতো দুরের কথা, সাধারণের চলাচল করাও অনেকটা কষ্টকর। নগরীর কোন ভবন নির্মাণে ফায়ার সেফটি প্ল্যান মানা হয়নি। মানা হয়নি ইমারত আইন। অধিকাংশ ভবনে অগ্নিকান্ডের সময় দ্রুতগতিতে ভবন থেকে নির্গমন এবং অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপনের কোন ব্যবস্থা নেই। রাজধানীতে অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে সাড়ে ১১ হাজার বহুতল ভবন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল,মার্কেট নির্মাণের অগ্নি ঝুঁকি সহ এ জাতীয় কোন দুর্ঘটনা বিবেচনায় আনা হয়না। অপরিকল্পিত নগরায়ন, ভবন মালিকদের বাণিজ্যিক মানসিকতা, তদারককারি প্রতিষ্ঠানের উদিিসনতা সহ বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত অগ্নিকান্ড সংঘটিত হচ্ছে। লোভের কারণে পুড়ছে মানবজীবন। ফায়ার সাভিসের হিসেব মতে, চট্টগ্রাম নগরীতে সর্বোচ্চ ১৭ তলা উঁচু ভবনে অগ্নিকান্ড হলে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের অগ্নি নির্বাপনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের বর্তমানে বীমা গাড়ি সংযুক্ত হয়েছে। এই গাড়ি দিয়ে ১৭ তলা উঁচু ভবনে অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তার উর্ধে নয়। এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের প্রধান প্রধান শহরে ১৭ তলার উর্ধে অনেক গগনচুম্বি অট্টলিকা বিদ্যমান রয়েছে। সেখানে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে কিভাবে অগ্নি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। সেটি এখন উদ্বিগ্নের বিষয়। ফায়ার সার্ভিসে অত্যাধুনিক কোন সরঞ্জাম নেই তাই এই সংস্থা অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপনে কতটুকু সক্ষমতা রয়েছে।
১৯৪০ সালে তৎকালিন বৃটিশ সরকার অবিভক্ত ভারতে ফায়ার সার্ভিস গঠন করে। ১৯৫১ সালে সিভিল ডিফেন্স গঠিত হয়। বংলাদেশ সরকার ১৯৮২ সালে গতি, সেবা ও ত্যাগের মূলমন্ত্র ধারণ করে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স গঠন পূর্বক কার্যক্রম আরম্ভ করে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থার একটি অধিদপ্তর রয়েছে। অধিদপ্তরের প্রধান হলেন মহাপরিচালক, পরিচালক রয়েছে তিন জন, ফায়ার ব্রিগেড, ফায়ার অফিসার, ফায়ারম্যান ও ডুবরি। আরো রয়েছে এ্যাম্বুলেন্স, অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম, গাড়ি। তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ১৯৬১ সালের ০৫ জুলাই ফায়ার সার্ভিস বিধিমালা-১৯৬১ প্রণীত করে। পরবতীতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৩ সালের ০৬ মার্চ অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ প্রণয়ন করে। ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন বিধিমালা-২০১৪ প্রণীত করে। অত্র আইন বা বিধি নিয়ে একটু আলোকপাত করা যাক। অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ এর ৭ ধারার মতে, অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপন ও তদসম্পর্কিত নির্ধারিত বিষয়াদির ক্ষেত্রে মহাপরিচালক হতে বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদন করতে হবে। অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন বিধিমালা-২০১৪ এর ২০ ধারা মোতাবেক, কেউ ছাড়পত্র ব্যতীত বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করলে মহাপরিচালক তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন। অত্র আইনের ২০ ধারা মোতাবেক, অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপন জনস্বার্থে বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ সমাপনান্তে ব্যবহার করার পূর্বে মহাপরিচালক হতে ব্যবহার যোগ্য বা অকোপেন্সি সনদ নেয়ার বিধান থাকলেও চট্টগ্রাম নগরীতে শুধুমাত্র রেডিসন ব্লু ব্যতীত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ফায়ার সাভিস থেকে অকোপেন্সি সনদ গ্রহণ করেনি। অত্র বিধির-১৯(৩) মোতাবেক, ৫০০ ব. মি. ফ্লোর এরিয়া বিশিষ্ট শিক্ষা সমাবেশ প্রাতিষ্ঠানিক, শিল্প, বিপজ্জনক ও মিশ্র ব্যবহার শ্রেণীর ভবন নির্মাণের জন্য ফায়ার ফাইটিং, ফ্লোর প্ল্যানে নির্মাণ করতে হবে। প্ল্যান স্থায়ী অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাদি, জরুরী নির্মগমন সিঁড়িঁ, লিফট ও ফায়ার লিফট, ডিটেকশন সিষ্টেম,এলার্মিং সিষ্টেম,ইমারজেন্সী লাইট, এক্সিট সাইন, রিজার্ভার, ডাক্টস সমূহ,ফায়ার কমান্ড স্টেশন, ট্রান্সফরমার কক্ষ, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর কক্ষ, ফায়ার ফাইটিং পাম্প হাউজ, রাইজার পয়েন্ট, হোজ কেবিনেট, প্রিংকলার হেড, সেফটি লবি, ফায়ার রেটেড ডোর ভেন্ট, এভিয়েশন। বহুতল ভবন, ফ্ল্যাট, ডরমেটরি, হোটেল গেষ্ট হাউসে সকল প্লট বহুতল ভবনের বেশ দ্বার নূন্যতম প্রশস্থতা ৯ মিটার হতে হবে, প্রতিতলার ৬০০ ব. মি. এরিয়ার জন্য একটি অতিরিক্ত এরিয়ার জন্য আরো ওয়েট রইজার, হোটেল মেটেলে সকল কক্ষ, করিডোর, সিঁড়ি, লিফট ও লবিতে স্বয়ংক্রিয় ¯িপ্রং কলার, ৫ হাজার গ্যালেন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আন্ডার গ্রাউন্ড রিজার্ভার স্থাপন করতে হবে, বহুতল ভবনে ফায়ার ফাইটিং পাম্প হাউজ, স্মোক ও হিট ডিটেক্টর সিস্টেম, ফায়ার এলার্ম সিস্টেম, ইমারজেন্সী লাইট, জরুরী নির্গমন সিঁড়ি, বিকল্প সিঁড়ি, ভবনে নূন্যতম ৫০ জন পর্যন্ত বসবাসকারির জন্য ১টি, ৫০জন পর্যন্ত ৩টি ও ১০০০ জন উর্ধে ৪টি জরুরী নির্গমন সিঁড়ি, ফায়ার লিফট, বেইজমেন্টে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন সিষ্টেম অটো স্মোক এন্ড হিট ভেন্টিং সিস্টেম, স্ট্যান্ড বাই জেনারেটর কক্ষ থাকার বিধান রয়েছে।
গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাব স্টেশন, পি,এ সিস্টেম, সার্ভিস ডাষ্ট, রিফিউজ এরিয়া, র‌্যাম্প, ওয়েট কেমিক্যাল সিস্টেম অটো সাপ্রেশন সিস্টেম, বহনযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, মেইন প্যানেল ও রিপিটার প্যানেল বোর্ড, ফায়ার কমান্ড স্টেশন, লাইটনিং প্রটেকশন সিস্টেম, এভিয়েশন লাইট, হেলিপ্যাড, ফায়ার সেপারেশন দেয়াল, হাই ভোল্টেজ লাইন, আলোকিত এক্সিট সাইন এবং জরুরি নির্গমন সিঁড়ি লাইট স্থাপন করার বিধান রয়েছে। অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ এর ৪(১) ধারায় উল্লেখ আছে কেউ কোন ভবন বা স্থানকে মাল গুদাম বা কারখানা হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে মহাপরিচালক হতে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স বিহীন ভবন বা স্থানকে মাল গুদাম বা কারখানা হিসেবে ব্যবহার করেন, তবে তিনি ৩ বৎসরের কারাদন্ড , অর্থদন্ড ও যাবতীয় মালামাল বাজেয়াপ্ত হবে। অত্র আইনের ৫(১) ধারার বিধান মতে, কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে মহাপরিচালক লাইসেন্স বাতিল করতে পারবেন। ২১ ধারার বিধান মতে, কোন ব্যক্তি কোন দাহ্য বস্তু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ করলে, সে ব্যক্তি ২ বৎসর কারাদন্ডে বা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন ও দাহ্য বস্তু বাজেয়াপ্ত হবে। অত্র আইনের ২৪ (১) ধারামতে, মহাপরিচালক বা তার প্রতিনিধি আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন। শিল্প কারখানায় প্রধান সড়কের প্রশস্থতা ১৫ মিটার হতে হবে, হাইড্রেন্ট স্থাপন, বয়লার কক্ষ, অটো ভেন্ট স্থাপন করতে হবে, জরুরী নির্গমন সিঁড়ি ও পথ, ভেন্টিলেশন, মোবাইল ফায়ার ইঞ্জিন সহ অগ্নি নির্বাপক দল থাকতে হবে, জলধার ব্যবহার করতে হবে,ফায়ার এক্সিটিং গুইসার থাকতে হবে। অত্র বিধির বিধান মতে, লাইসেন্স গ্রহণের পর শর্ত পালন করতে হবে, যেমন দাহ্য বস্তুর মাল গুদামে বিদ্যুৎ সংযোগ রাখা যাবে না, মাল গুদাম বা কারখানায় মালামাল ডানেজ, ফায়ার ব্রেক ও পৃথিকীকরণ প্রক্রিয়ায়মজুদ রাখতে হবে, অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপন, উদ্ধার সরঞ্জাম, ব্যবস্থাদি সংরক্ষণ ও কার্যক্রম রাখতে হবে, মাল গুদাম বা কারখানা কোন অংশ রান্নার কাজে ব্যবহার এবং মাল গুদাম বা কারখানা অংশ বিশেষকে আবাসন ব্যবহার করা যাবে না। আইনে এসব বিধান থাকলেও বাস্তবে প্রতিফলন নেই।
সকল অগ্নিকান্ডের দায়িদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনগত ব্যবস্থা, আইনের সঠিক প্রয়োগ। সরকারকে গণ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিটি আবাসিক ভবন ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে যথাযথ অগ্নি নির্বাপনের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার সার্ভিস বাহিনীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা একান্ত প্রয়োজন।
লেখক : কলামিস্ট ও সংগঠক