লোকসানি শাখা বেড়েছে জনতার,কমেছে রূপালীর

30

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের লোকসানি শাখা গড়ে কমলেও উল্টো হয়েছে জনতা ব্যাংকের ক্ষেত্রে। বছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখা বেড়েছে ৩১টি। আনন টেক্স ও ক্রিসেন্ট লেদারের ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে এক বছরের ব্যবধানে জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখার সঙ্গে বেড়েছে খেলাপি ঋণও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, লোকসানি শাখা কমাতে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দক্ষতা বৃদ্ধি, মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, লোকসানি শাখা কমানোর জন্য সরকারি ব্যাংকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে নতুন শাখা খোলা বন্ধ করতে হবে। শাখা না খুলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের উপর জোর দিতে হবে। এজন্য মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে দক্ষতা ব্যবস্থাপনা দরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষে অগ্রণী, সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৬টিতে। ২০১৭ সাল শেষে এসব ব্যাংকের লোকসানি শাখা ছিল ৩৫১টি। এ বছরের ব্যবধানে কমেছে ৯৫টি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তিনবছর ধরে লোকসানি শাখা কমানোর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে একমাত্র রূপালী ব্যাংক। ২০১৬ সালে ব্যাংকটির ১৪৩টি লোকসানি শাখা থাকলে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে লোকসানি শাখার সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩টিতে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে রূপালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮টিতে। জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, দুই বছর আগে ২০১৭ সালে বার্ষিক সাধারণ সভায় বলেছিলাম, ২০১৯ সালের মধ্যে আমরা শীর্ষ ব্যাংকের স্থান দখল করবো। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে যাওয়ার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে চার ব্যাংকের লোকসানি শাখা ছিল ৩৫১টি। বছর শেষে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা ১৮১টি থাকলেও ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংক ৮৮টি লোকসানি শাখা কমাতে পেরেছে। বছর শেষে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩টিতে।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, সোনালী ব্যাংক সরকারে পক্ষে জনগণকে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে। বার্তা সংস্থার খবর