লিফটে আটকে গেলেন খসরুসহ বিএনপি নেতারা

52

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলীয় নেতারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট লিফটে আটকে ছিলেন। গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব নেতা ডা. খুরশিদ জামিলসহ বিএনপির ১৫-২০ জন নেতাকর্মী।
হাসপাতালের ৫ম তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে ৩ নম্বর লিফটে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে লিফট আটকে যায়। খবর পেয়ে নিচে অপেক্ষমাণ আমীর খসরুর একান্ত সচিব মো. সেলিমসহ কর্মীরা মিলে লিফটের দরজা টেনে তাদের বাইরে নিয়ে আসেন। পরে ডা. খুরশিদ জামিল চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলামকে এ বিষয়ে ফোনে জানান।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়া বিএনপি নেতারা সেটি ‘ছিঁড়ে’ পড়ার দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তেমন কিছু ঘটেনি।
লিফটে থাকা চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ও ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী বলেন, তারা ১০ জন নেতা ও কয়েকজন সাংবাদিক হাসপাতালের পঞ্চম তলা থেকে লিফটে নিচে নামার সময় তৃতীয় তলায় এসে ঝাঁকি খান, এরপর একদম নিচে নেমে যায় লিফটটি। এ সময় লিফটটি নিচতলার আরও কয়েক ফুট নিচে নেমে যায়। এতে আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তবে কেউ আহত হয়নি।
আমীর খসরুর ব্যক্তিগত সহকারী মো. সেলিম জানান, নেতারা লিফটে নামলেও তিনিসহ আরও কয়েকজন হেঁটে নেমেছেন। এসময় খবর পেয়ে তারা দ্রæত অন্য একটি লিফটের লিফটম্যানকে খুঁজে নেন। তিনি গিয়ে লিফট খুলে নেতাদের বের করে আনেন। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লিফট বিকল হয়েছে। তবে পরে জানতে পারি লিফটটি তার ছিঁড়ে গেছে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, লিফটের তার ছেঁড়ার মতো কিছু হয়নি। লিফটে মানুষ বেশি থাকায় সেটি ঝাঁকি দিয়ে নিচে নেমে যায়।
চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলামও বলেন, প্রতিদিন শত শত লোক এসব লিফট ব্যবহার করে। এরকম কোনো ঘটনা ঘটে না। লিফট ছিঁড়ে পড়ার কোন ঘটনাই ঘটেনি।