লাশের ওপর দাঁড়িয়ে কাউকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না

37

লাশের উপর দাঁড়িয়ে কাউকে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না বলে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। তিনি সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেন।
সুজন বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের করাল থাবা থেকে জনগনকে রক্ষা করার জন্য চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর তারা করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করছি করবো বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। পরবর্তীতে বারবার আলাপ আলোচনার পরও স্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাও মানছে না। হাসপাতাল মালিকরা তাদের রোগী বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে একের পর এক নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা দীর্ঘদিনের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগবিহীন পরিত্যক্ত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটিকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার উপযোগী করে গড়ে তোলার কথা বলে প্রস্তুতি সম্পন্ন না করেই উদ্বোধনের নাটক মঞ্চায়িত করেছে। দেখা যাচ্ছে যে উদ্বোধনের পরেও সেটা সম্পূর্ণ চালু করা যায়নি। যেখানে নগরীর অন্যান্য হাসপাতালে রোগী ভর্র্তির জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় সেখানে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি রোগীশুণ্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, আয়ার অভাবে সেখানে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগী ফিরিয়ে দিয়ে চট্টগ্রামকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক চিকিৎসা না দিলে লাইসেন্স বাতিলসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুমকি দেওয়া হলেও তারা সেগুলো কর্ণপাতও করছে না। নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে এ অবস্থা দূরীকরণে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার অনুরোধ করা হলেও এখনো তারা পর্দার অন্তরালে থেকে তাদের অদৃশ্য খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। খুব কৌশলে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। তবে এ অবস্থা আর বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সুজন বলেন এখন থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে রোগী ভর্তি করতে বাধ্য করা হবে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে আসা আত্মীয়-স্বজনদের নিকট আমাদের আবেদন থাকবে কোন হাসপাতাল যদি রোগী ভর্তি না করে সেক্ষেত্রে এসব হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউ এবং এইচডিইউ বেড পরিদর্শন করার জন্য। পরিদর্শন শেষে যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া না যায় তাহলে জোর করে সেখানে রোগী ভর্তি করানোর জন্য। তিনি আরো বলেন আমরা ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নৈরাজ্যের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করেছি। শীঘ্রই এদের নাম ও ছবি গণমাধ্যমসহ নগরীর উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন করা হবে। বিজ্ঞপ্তি