লামায় ২০ শতক গাঁজাক্ষেত ধ্বংস করল পুলিশ

66

বান্দরবানের লামায় ২০ শতক জমির গাঁজাক্ষেত ধ্বংস করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি রওজাঝিরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি খেতের ৫৫৩টি গাঁজার গাছ উপড়ে ফেলা হয়। এসময় গাঁজা চাষি ইয়াহিয়া মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদা বেগমকে (৩৫) ১৫ গ্রাম গাঁজার বীজসহ আটক করা হয়। উফড়ে ফেলা গাঁজা গাছের ওজন ৮৫ কেজি বলে জানায় পুলিশ।
সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ নেশাজাতীয় গাঁজা চাষ করা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ আমিনুল হকের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কৃমার দাশ, আশরাফুজ্জামান, আয়াত উল্লাহ, সহকারী উপ-পরিদর্শক রাম প্রসাদ, সুজন ভৌমিক ও আহসান হাবিবসহ সঙ্গীয় সদস্যরা শনিবার সকাল ৯টার দিকে রওজার ঝিরি এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় গত কয়েক মাস আগে স্থানীয় ইয়াহিয়া মিন্টু কর্তৃক জমিতে রোপিত গাঁজার ৩০৩টি পূর্ণ বয়স্ক ও ২৫০টি চারা গাছ উপড়ে ফেলে ক্ষেতটি ধ্বংস করে দেয় পুলিশ। একই সময় গাঁজা চাষির স্ত্রী খুরশিদা বেগমকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে গাঁজা গাছের ১৫ গ্রাম বীজ উদ্ধার করা হয়। গত কয়েকদিন আগে থেকেই চাষি ইয়াহিয়া মিন্টু এলাকার বাহিরে অবস্থান করার কারণে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, গতবছর লামা পৌরসভা এলাকার হরিণঝিরি গ্রামের বাসিন্দা জাকের হোসেন কুতুবীর ছেলে ইয়াহিয়া মিন্টু ছাগল খাইয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম লেদুর কাছ থেকে রওজাঝিরিস্থ ৬০ শতক জমি ১৫ হাজার টাকায় লিজ নেয়। চল্লিশ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করলেও এর পাশাপাশি আনুমানিক ২০ শতক জমিতে গাঁজার চাষ করে ইয়াহিয়া মিন্টু। এলাকার লোকজন প্রথমে বুঝতে না পারলেও একপর্যায়ে শনিবার সকালে গাঁজা চাষের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দেয়।
জানা যায়, ইয়াহিয়া মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গাঁজা বিক্রি করে আসছে। এ কাজে তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও বোনের স্বামী মো. ইকবাল এবং ইকবালের স্ত্রী জামিলা আক্তারও জড়িত রয়েছেন। কিছুদিন আগে ইকবাল মাস্টার পাড়া এলাকায়ও তামাক ক্ষেতের আড়ালে গাঁজার চাষ করেছিল। পরে জানাজানি হলে ইকবাল গাঁজা গাছগুলো তুলে ফেলেন।
এ বিষয়ে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, ইউনিয়নের রওজার ঝিরি এলাকায় গাঁজা চাষের বিষয়টি এতদিন কারো জানা ছিলনা।
লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার আভিযোগে খুরশিদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি মূল গাঁজা চাষি ইয়াহিয়া মিন্টুকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।