লামায় দুই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অপহৃত

52

বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপন দাবি করেছে সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। উপজেলা সদর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি ঘিলাপাড়া থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। অপহৃতরা হলেন সদর ইউনিয়নের বৈল্যারচর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মো. হাছান আলীর ছেলে মহরম আলী (৩২) ও ঘিলাপাড়ার কারবারী সতিশ ত্রিপুরার ছেলে বাচা ত্রিপুরা (৩০)। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা শুক্রবার রাতে তাদের পরিবারের কাছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে অপহৃতদের উদ্ধার অভিযানে নামেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শনিবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহৃতরা উদ্ধার হননি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মহরম আলী ও বাচা মনি ত্রিপুরা যৌথভাবে ব্যবসা করতেন। তারা দুর্গম পাহাড়ি ঘিলাপাড়া, পোপা হেডম্যান পাড়া, দোছড়ি পাড়া ও বদলা পাড়া থেকে আদা, হলুদ, মরিচ, কলা ও বাঁশ কিনে নিয়ে উপজেলা সদরে বিক্রি করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে মহরম আলী ও বাচা মনি ত্রিপুরা ঘিলাপাড়া গেলে পথ দেখিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় অপহৃত মহরম আলীর স্ত্রী ছফুরা বেগম ও বাচা মিয়ার বাবা সতিশ ত্রিপুরার কাছে (০১৮৮১৩১৯০৫০ নং মুঠোফোন থেকে) সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা।
স্থানীয়রা জানান,বৃহস্পতিবার রাতে মহরম আলীর সাথে পাড়া কারবারী সতিয়া ত্রিপুরার ছেলে বাচা মণি ত্রিপুরাসহ মোট ৩ জনকে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে একজনকে ছেড়ে দিলেও মহরম আলী ও বাচা মনি ত্রিপুরাকে এখনো ছাড়েনি।
অপহৃত মহরম আলীর স্ত্রী ছফুরা বেগম জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় স্বামির সাথে তার মোবাইলে কথা হয়েছিল। তারপর থেকে আর কোন যোগাযোগ নেই। শুক্রবার দুপুরে একটি অজ্ঞাত নম্বার হতে মুঠোফোনে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে সন্ত্রাসীরা।
দুই ব্যবসায়ী অপহরণের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, সন্ত্রাসীরা বাচা মনি ত্রিপুরার বাবা সতিশ ত্রিপুরার কাছে পাঁচ লাখ টাকা এবং অপর বাঙালি ব্যবসায়ী মহরম আলীর স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. লেয়াকত আলী বলেন, দুই ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনা শুনেছি। তবে ঘটনাস্থলটির অবস্থান উপজেলা সদর হতে দুর্গম পাহাড়ি ২২ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে। সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় করে অপহৃতদের উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।