লামায় কৃষকের ১৫ হাজার ১০০ গাছ কেটে দেয়ার অভিযোগে

27

বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রতিপক্ষ কর্তৃক এক প্রান্তিক কৃষকের সৃজিত বাগানের ১৫ হাজার ১০০টি ফলদ ও বনজ গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগে পাওয়া গেছে। এতে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সোলায়মান হোসেন। শুধু তাই নয়, এ সময় কৃষকের স্ত্রীকে মারধর করে একটি স্বর্নের চেইন কেড়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিা করার হুমকিও দেয় প্রতিপক্ষ।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাদী হয়ে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করেন।
মামলায় উল্লেখিত বিবাদীরা হলো- বান্দরবান সদর উপজেলার বালাঘাটা এলাকার বাসিন্দা মৃত এয়াজুর রহমানের ছেলে হাজী দেলোয়ার হোসেন (৬৫), সরই ইউনিয়নের কোম্পানীয়া পাড়ার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে আবু তাহের (৪৫) ও মৃত মো. মোললেম উদ্দিনের ছেলে মো. বাবুল মিয়া, আজিজনগর ইউনিয়নের আমতলী পাড়ার বাসিন্দা ফুল মিয়ার ছেলে মো. আব্বাছ (৩৫), গজালিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ পাড়ার বাসিন্দা মৃত শহীদ মিস্ত্রির ছেলে মো. ছিদ্দিক (২৬)। রবিবার আদালতে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কৃষক সোলায়মান হোসেনের বাবা আলী আহমদের নামে উপজেলার ডলুছড়ি মৌজার আর/৯৩৬ ও আর ৮৪৬নং হোল্ডিংয়ে মূলে কোম্পানীয়া এলাকায় ৯ একর জায়গা রয়েছে। এ জায়গায় বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে ফলদ ও বনজ গাছের বাগান সৃজনসহ বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। লোভের বশিভুত হয়ে গত বছরের ৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে হাজ্বী দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে ও আবু তাহেরের নেতৃত্বে আরো ১০-১৫জন সংঘবদ্ধ হয়ে জায়গা জবর দখলের উদ্দেশ্যে বাগানে তান্ডব চালায়। এ সময় বাগানে সৃজিত ১০ বছর বয়সী ১০০টি আম গাছ ও ৩ বছর বয়সী ১৫ হাজার একাশিয়া, হাইব্রীড ও বেলজিয়াম গাছা কেটে ফেলে বিবাদীরা।
এতে কৃষকের দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। গাছ কাটতে বাধা দিলে বিবাদীরা কৃষক সোলায়মান হোসেনের স্ত্রী নুর নাহার বেগমকে মারধর করে গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যায়। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে কৃষক ও কৃষকের বাবা আলী আহমদকে মিথ্যা মামলায় জড়িতে জেল খাটাবে, বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবে, এমনকি হত্যা করে লাশ গুম করবে বলেও হুমকি দেন বিবাদীরা। কৃষকের গাছ কেটে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে আদালতে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জামসেদ উদ্দিন বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।