লামায় কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন

40

সারা দেশের মত বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানের লামা উপজেলায়ও কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। কমিউনিটি হেলথ্ ক্লিনিক প্রোভাইডার এসোসিয়েশনের লামা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সোমবার দুপুরে ‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ” -এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, সি.এইচ.সি.পি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. উইলিয়াম লুসাই মোমোরিয়াল হল রুমে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি। এতে পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, ছাচিংপ্রæ মার্মা, মো. জাকের হোসেন মজুমদার, ফরিদ উল আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন ও মিল্কি রানী দাশ বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এতে প্রতিটি ক্লিনিক প্রোভাইডারদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। শেষে ক্লিনিকের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অবদানের জন্য উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার ও সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল্ আলমকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল ছিল কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ২৬ এপ্রিল শুক্রবার হওয়ায় ২৯ এপ্রিল প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে এ দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৮ সালে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় এই ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়।