লাবণী থেকে কলাতলীর সব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

63

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলীতে যে সমস্ত স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে, তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সমুদ্র তীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সরকারকে নীতিমালা তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে নতুন করে কাউকে যাতে সমুদ্র তীরে লিজ না দেয়া হয়, সে বিষয়ে সরকারকে নজর রাখতে হবে।
এই স্থাপনাগুলো ১৯৯৯ সালের পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত লিজ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়টি গত সোমবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
রায়ের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এ রায় একটি মাইলফলক, অবশ্যই তা বাস্তবায়ন করা হবে। এ রায় মানা না হলে, সরকার আদালত অবমাননার মামলা করবে।
সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের ফলে ঝিলংজা মৌজায় গড়ে ওঠা ২০টিরও বেশি থ্রি-স্টার ও ৫ স্টার মানের হোটেল এবং ছোট বড় অনেক মোটেল ভেঙে ফেলতে হবে।
১৯৯৯ সালে সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত এলাকা প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সেই গেজেট অমান্য করে লিজ দেয়ায় এই নিয়ে হাইকোর্টে করা পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানির পর হাইকোটের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ের রিভিউয়ে এই রায় দেয়া হয়।
১৯৯৯ সালের পর নেয়া হোটেল সাইমন, সি গালসহ বড় বড় বেশ কিছু হোটেলের লিজ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।
এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কক্সবাজার ঝিলংজা মৌজার সমুদ্র সৈকতে লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত এলাকায় হোটেল মোটেলসহ অবৈধ সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।