লাদাখ থেকে চীনা সেনা সরেছে ভারতের কূটনৈতিক সফলতায়

55

লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে উদ্ভূত সাম্প্রতিক অচলাবস্থার অবসান হয়েছে। মুখোমুখি অবস্থান বদলে দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা- এলএসি (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনাকে ভারতের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত ৫ জুলাই লাদাখ সীমান্ত বিতর্ক ও দুই দেশের মুখোমুখি অবস্থান প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে টেলিফোনে দুই ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ এক বৈঠক করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও লাদাখ সীমান্ত বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অজিত দোভাল। সে সময় তারা সীমান্ত উত্তেজনা নিরসন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও নিরাপত্তার ব্যাপারে সহমত পোষণ করেন। টেলিফোনে ওই বৈঠকের পরপরই দ্রুততম সময়ে উভয় দেশ লাদাখ সীমান্তের এলএসি থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেবে বলে আশার সঞ্চার হয়। এবং ঠিক তাই, এর পরপরই এলএসি থেকে সরে যেতে থাকে চীনা লাল ফৌজ ও ভারতীয় জওয়ান।
অজিত দোভাল্ল ওয়াং ইর ওই বৈঠক প্রসঙ্গে গত সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, রোববারের ফোনালাপে অজিত দোভাল ও ওয়াং ই লাদাখ সীমান্ত বিতর্ক প্রসঙ্গে অনেক খোলামেলা ও গভীর আলাপ-আলোচনা করেন। এসময় দুই দেশই এলএসি থেকে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করে।
ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কূটনৈতিক ওই তৎপরতায় অজিত দোভাল সফলতার সঙ্গে চীনকেই প্রথমে লাদাখ থেকে সেনা সরানোর কাজটি শুরু করার ব্যাপারে সম্মত করান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতও সেনা সরাবে বলে জানান তিনি। ভারত সরকার জানায়, এরইমধ্যে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে নিজেদের সীমানার দুই কিলোমিটার ভেতরে সরে গেছেন চীনা সেনারা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পিপি-১৪, পিপি-১৫ ও অন্যান্য অংশ থেকেও ধারাবাহিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে চীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতও গালওয়ান উপত্যকার এলএসি থেকে নিজেদের সীমান্তের ২ কিলোমিটার ভেতরে সেনা সরিয়ে নিয়েছে।