লটারিতে ভর্তি’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা

111

নগরীর সরকারি স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রতিবার পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য বিবেচনা করা হলেও এবারই প্রথম লটারির মাধ্যমে সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। করোনার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সূত্র জানায়, সরকারি স্কুলে ভর্তি নিয়ে সারা বছরই উৎতণ্ঠায় থাকেন অভিভাবকরা। অধিকাংশ অভিভাবকদের ইচ্ছা থাকে সন্তানকে সরকারি স্কুলে পড়ানোর। সে লক্ষ্যে গৃহশিক্ষকের পাশাপাশি ভর্তি করে দেওয়া হয় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে। ক্লাসের সিলেবাসের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ালেখা করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয় শিক্ষার্থীরা। তবে এ বছর প্রথম করোনা পরিস্থিতির কারণে লটারির মাধ্যমে সরকারি স্কুলে ভর্তি নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও চট্টগ্রামে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
লটারির মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বাদ পড়তে পারেন বলে মনে করেন রাহাত্তারপুল এলাকার মজিদুল হক নামে এক অভিভাবক। তিনি জানান, পরীক্ষা মাধ্যমের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা প্রমাণের সুযোগ থাকে। কিন্তু লটারির মাধ্যমে সেই সুযোগ নেই। সারা বছর না পড়েও লটারিতে আগে নাম আসলে সে ভর্তির সুযোগ পাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়বে মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত: গত ২৫ নভেম্বর সরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ঢাকা মহনগরীর ‘ক্যাচমেন্ট’ (স্কুল সংলগ্ন এলাকা) এরিয়া ৪০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করা হয়। অর্থাৎ মোট খালি আসনের ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।
চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে ‘ক্যাচমেন্ট’ এরিয়া প্রযোজ্য হলে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে বলে জানান আরেক অভিভাবক শাহীনুর বেগম। তিনি বলেন, নগরীর বশিরভাগ সরকারি স্কুল কয়েকটি নির্দিষ্ট থানার আওতায়। কিন্তু আমার বাসা চান্দগাঁও থানা এলাকায়। এই থানা এলাকায় কোন সরকারি স্কুল নেই। আমার ছেলে কোন স্কুলের আওতায় থাকবে? এক্ষেত্রে কোনো স্কুলের আশেপাশে না থাকা শিক্ষার্থীরা কি বঞ্চিত হবে না?চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে এই ‘ক্যাচমেন্ট’ এরিয়া প্রযোজ্য হবে কিনা এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ক্যাচমেন্ট এরিয়া বিষয়টা প্রাথমিকে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোর জন্য যে ‘ক্যাচমেন্ট’ এরিয়ার কথা বলা হয়েছে সেটি চট্টগ্রামে নির্ধারণ করতে গেলে ঝামেলা হবে। তবে চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালা আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ স ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, সরকারি স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে মাত্র। জেলা পর্যায়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নীতিমালা আসলেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাতে পারবো।