রোয়াংছড়িতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ বিতরণে কারিতাসের স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

46

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কারিতাসের আয়োজনে ইউকেএইড ও স্টার্ট ফান্ডের অর্থায়নে সহায়তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে বিভিন্ন কেটাগরিতে রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ও সদরসহ ২টি ইউনিয়নের উপজেলা পরিষদর মিলনায়তনে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চহাইমং মারমা। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেহেদী হাসান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আথুইমং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ক্রইংচিংপ্রু মারমা, রোয়াংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা, আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, রোয়াংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম, কারিতাসের এগ্রো ইকোলজি কর্মসূচির প্রকল্প কর্মকর্তা রুপনা দাশ প্রমুখ।
এদিকে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে তালিকা করা হলেও একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাকের আওতায় এর সমিতিতে যারা সদস্য অর্ন্তভুক্ত আছে তাদের নাম ও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দার রিতা চক্রবর্তী, নিলা বড়ুয়া, তুম্পা বড়ুয়া, কচ্ছতলি যদুমনি পাড়া বাসিন্দা অঙ্কির ত্রিপুরা কারবারী ও মনির ত্রিপুরা অভিযোগ করে জানান, কারিতাসে কর্মকর্তাদের গাফিলতি কারণে স্বজনপ্রীতি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম তালিকা করা হয়নি। শুধু তাই নয় রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৪টি ইউনিয়ন মধ্যে ১নং রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন, ২নং তারাছা ইউনিয়ন, ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নসহ ৩টি ইউনিয়নকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নোয়াপতং ইউনিয়নটি বাদ পড়েছে এবং সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এ ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের। নোয়াপতং ইউনিয়ন ছাড়া ৩টি ইউনিয়নে প্রায় ৭শতাধিক পরিবারকে ৫ হাজার ৫শত টাকা ও ৬ হাজার ৫শত টাকা করে দুই কেটাগরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ কারিতাস। নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা ও ইউপি সদস্য মেচিং মারমা জানান, আমাদের নোয়াপতং ইউনিয়নে ও প্রায় ৬০ থেকে ৭০ পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় পরপরে আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ এলাকার ঘুড়ে দেখা গেছে ৫নং ওয়ার্ডে ডুলুছড়ি নিচে পাড়া বাসিন্দা থোয়াইনু মারমা, থুইবুক মারমা, উচনু মারমা ও ৭নং ওয়ার্ডে বাঘমারা ভিতর পাড়া বাসিন্দার ক্যহ্লাচিং মারমা এবং মংম্যানু মারমা এর মধ্যে বসত ঘর সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গেছে। যারা ঘর ভেঙে গেছে তাদের অন্য জায়গাতে আশ্রয় নিয়ে এখনো গৃহহীন অবস্থাতে আছে। এছাড়া প্রবল বর্ষণে ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার মানুষের। তারা কি অপরাধ করেছে। ৩ ইউনিয়ন বাসির পাবে আর নোয়াপতং ইউনিয়ন বাসিদের সহায়তা পাবেন না। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়াতা ছাড়া কোন বেসরকারি সংস্থার থেকে সার্বিক সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। রোয়াংছড়ি উপজেলা অফিসের সমন্বয়ক যোসেফ প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়ের স্বল্পতা কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মাধ্যমে তালিকাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। যার ফলে কিছু কিছু বাদ পড়তে পারেন। ক্ষতিগ্রস্তরা দুর্গম এলাকার হওয়ায় আমরা সঠিক ভাবে যা চাই করতে পারিনি।