রোহিঙ্গা শিবিরে মহামারি নিয়ন্ত্রণের গল্প বিশ্বের জানা উচিত

24

জনবহুল রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ‘নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারাকে’ আন্তর্জাতিক শরিকদের সঙ্গে মিলে সরকারের ‘দ্রুত পরিকল্পনা এবং যৌথ প্রয়াসের’ ফল হিসাবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল রবিবার আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্তে¡ও আমরা কক্সবাজারে ভালো পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। এটি এক সফলতার গল্প, যা বিশ্বের জানা উচিত’।
‘লেটস টক : রোহিঙ্গা রেসপন্স অ্যান্ড কোভিড১৯’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রবেশ ও বের হওয়ার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সহযোগীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা; এই সংখ্যা কয়েক মাসের মধ্যে ৭ লাখ ছাড়ায়। আগে থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল আরও ৭ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের কক্সবাজারের কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় জরুরি মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানো না গেলে পরিস্থিতি যে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেবে, সে বিষয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
সরকারি হিসাবে, গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৫২ জন রোহিঙ্গা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৫ জন। খবর বিডিনিউজের