রোহিঙ্গা তরুণী এখন ইউনিভার্সিটির ছাত্রী!

164

ইন্টারনেটে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা জার্মানীর ডয়চে ভেলে কর্তৃক প্রচারিত দেড় মিনিটের একটি ভিডিও নিয়ে কক্সবাজারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ভিডিও’র মাধ্যমে রোহিঙ্গা তরুণীর পরিচয় ফাঁস হওয়ার পর সে কিভাবে কক্সবাজারের প্রতিষ্ঠিত স্কুল ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার সুযোগ পেলো তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ বলছেন রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে তরুণী স্বনামধন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে। আবার কেউ বলছেন মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে ভর্তির সুযোগ দিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে যেটায় হোক না কেন, আসল ঘটনা কি তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে ডয়েচ ভেলের প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশির উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে একটি এনজিওর কর্মী হিসেবে তার স্বদেশী রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন। ভিডিওটিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশির পরিবার একইভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলো। সেখানে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সন্তানরা বৈধভাবে বাংলাদেশের কোনো স্কুলে পড়তে পারে না। তাই রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে কক্সবাজারের একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন খুশি। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে এবং ঘুষ দিয়ে ভর্তি হওয়া সেই স্কুলটি হলো কক্সবাজার শহরের বৈল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি।
জানা গেছে, খুশি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি থেকে এসএসসি ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। কক্সবাজারের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি অনার্স পড়ছেন। এই রোহিঙ্গা তরুণী রহিমা আকতার ওরফে রাহী খুশি, বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সংগঠন বন্ধুসভার জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক। এছাড়াও ওমেনলার্নিং সেন্টার, মার্কি ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের স্কাউটসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পক্ত। সম্প্রতি বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে খুশির দেড় মিনিটের ভিডিওটি ইন্টারনেটে প্রচার করলে তার রোহিঙ্গা পরিচয় ফাঁস হয়ে যায়। খুশী একজন রোহিঙ্গা এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জেনে তার সহপাঠিরাও রীতিমতো বিস্মিত। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।